মানবাধিকার নিয়ে বিএনপির অপপ্রচার মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৬০ ভোট পেয়ে পুনরায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। অথচ বিএনপি, কিছু ব্যক্তিবিশেষ এবং চিহ্নিত কয়েকটি সংগঠন ক্রমাগতভাবে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে অপপ্রচার করছে। তারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভুল তথ্য উপাত্ত পাঠিয়ে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করছিল এবং সেই প্রেক্ষাপটের মধ্যেই বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয়, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে তারা যে অপপ্রচার চালিয়ে এসেছে, বিদেশিদের বিভক্ত করার চেষ্টা করেছে, সেগুলো অসার এবং কাজে আসেনি। বরং প্রমাণ হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সঠিক পথেই আছে।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: তৃতীয়বার করোনায় আক্রান্ত তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে মানবাধিকারের সর্বোচ্চ লঙ্ঘন হয়েছে, যখন জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকতে বিনা বিচারে হাজার হাজার সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা-জওয়ানকে হত্যা করেছে। এমন ঘটনাও ঘটেছে যে, ফাঁসি কার্যকর হয়েছে আগে, বিচারের রায় হয়েছে পরে। দিজ আর ডকুমেন্টেড অর্থাৎ এগুলোর প্রমাণ রয়েছে। জিয়ার আমলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সরকারও ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা, আমাদের সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টার, খুলনার মনজুর ইমামকে হত্যা এবং হুমায়ুন কবির বালু থেকে শুরু করে বহু সাংবাদিক হত্যার সঙ্গে যুক্ত ছিল। তারা সেগুলোর কোনো সঠিক বিচার করেনি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের স্বপ্নে বিভোর বিএনপিকে সবক্ষেত্রে প্রতিহত করার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
হাছান মাহমুদ বলেন, ২০১৩-১৪-১৫ সালে যেভাবে মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়েছে, আমরা সেগুলো বিশ্ব দরবারে নিয়ে যাচ্ছি। জিয়াউর রহমান যাদেরকে হত্যা করেছিল তাদের পরিবারগুলোর সংগঠন ‘মায়ের কান্না’ ঢাকা-চট্টগ্রামহসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করছে।