সম্প্রতি প্রকাশিত মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে মৌলিক ত্রুটি রয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, সরকার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে আলোচনার বিষয় রয়েছে। তাই সরকার মার্কিন সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৭ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ। এ দেশ আইনের শাসন, মানবাধিকার ও সুশাসন অনুসরণ করে এবং তাই এর অর্থনৈতিক অর্জনও উল্লেখযোগ্য।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ভালো: তথ্যমন্ত্রী
এদিকে পৃথক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, প্রতিবেদনটি সমাজ ও সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি ‘অরাজকতার সমাজ’ তৈরিতে উৎসাহিত করছে বলে মনে হচ্ছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, সব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও সরকার জনগণের কাছে করা নিজস্ব প্রতিশ্রুতির জন্য জনগণের মঙ্গল, অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল ‘বাংলাদেশ ২০২১ হিউম্যান রাইটস রিপোর্ট’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও শ্রম ব্যুরো প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন: মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে তথ্য বিভ্রাট হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
(এ প্রতিবেদনের জন্য) সংগৃহীত সব পর্যবেক্ষণ প্রধানত এনজিও/আইএনজিও রিপোর্টিং উৎস থেকে সংগৃহীত বলে নোট করেছে সরকার।
সংবাদপত্র থেকে তথ্য/উপাত্তও সংগ্রহ করা হয়েছে যা থেকে বুঝা যায় গণমাধ্যম প্রতিবেদন করার ক্ষেত্রে তাদের পদ্ধতি অনুশীলন করতে সক্ষম।
মানবাধিকার পরিস্থিতির বিপরীতে বেশ কিছু অপ্রমাণিত পরিসংখ্যান উৎসের উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। এছাড়া প্রতিবেদনে কিছু বাস্তবিক ত্রুটি রয়েছে বলেও জানায় মন্ত্রণালয়।