মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে সেখান থেকে আর কোনো মর্টার শেল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে পড়বে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এক প্রশ্নের জবাবে সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘মিয়ানমারে সংঘাত চলছে। চলমান এই সংঘর্ষের মধ্যেই মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে মরণঘাতী গোলা পড়ে। সীমান্তে আমাদের বাহিনী সতর্ক রয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং আশা করছে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না। ‘আমরা সতর্ক রয়েছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে প্রস্তুত ইউএই: পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি
স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রবিবার কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্ত এলাকা থেকে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।
রবিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের পরিস্থিতি কখনোই ভালো ছিল না। সেখানে সবসময় অস্থিরতা বিরাজ করে- কখনো ভালো, কখনো খারাপ। মিয়ানমার এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, বর্তমানে রোহিঙ্গাদের তাদের জন্মস্থান রাখাইনে প্রত্যাবাসনের জন্য প্রতিকূল পরিবেশ।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী (ইউএনআরসি) গোয়েন লুইস বলেন, এই মুহূর্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা পরিস্থিতি খুবই কঠিন এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য এটি ভালো সময় নয়।
ইউএনআরসি বলেছে, প্রত্যাবাসন বাংলাদেশের জন্য অগ্রাধিকার এবং রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি বাংলাদেশ তাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের প্রয়োজনীয় মৌলিক সেবাগুলোর জন্য অর্থায়নের ঘাটতি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা সেই অনুযায়ী কাজ চালিয়ে যাব।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে এফএও'র নতুন প্রতিনিধি হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন ড. শি
বিএনপি এখন বলে, তারেক জিয়াই সব শেষ করল: নীলফামারীতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী