আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাওসার পারভীন জানিয়েছেন, রবিবার থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ফরিদপুরে ১০ দশমিক ০১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গায় ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়, যা ছিল এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রামের শাহ অমানত আন্তার্জাতিক বিমানবন্দরে পাঁচ ঘন্টারও বেশি সময় বিমান চলাচল বন্ধ ছিল। বৈরী আবহাওয়ার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরিচলাচলও কয়েক ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
উত্তরের জনপদ লালমনিরহাটের বাসিন্দারা হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় কাঁপছে। গত কয়েক দিনের শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। গত সপ্তাহ জুড়ে এ জেলায় সূর্যের দেখা মিলেনি। শনিবার বেলা ১১টা থেকে ঘন কুয়াশা কেটে গেলেও বাইরে বইছে হিমেল হাওয়া। তীব্র শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। জেলায় বেড়েছে শীতজনিত নানা রোগ। গত চার দিনে ডায়েরিয়া, নিউমোনিয়া ও হাঁপানিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলার পাঁচটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন শিশুসহ ৫০ জন।
সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছেন ১৩টি নদ-নদী তীরবর্তী ৬৩টি চরের প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষসহ নিম্ন আয়ের শ্রমজীবীরা।
নীলফামারীর জনজীবনও অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহে কাহিল হয়ে পড়েছে। বইছে কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস। চরম বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষজন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে আছেন ডিমলা উপজেলার তিস্তা নদী ঘেঁষা চরাঞ্চলের লোকজন। সেখানকার দরিদ্র মানুষজন পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। দুপুর পর্যন্ত খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, শনিবার নীলফামারীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সারা দেশের মত ফরিদপুরেও শীতের তীব্রতা বেড়ে চলেছে। এতে কর্মহীন হয়ে পড়ছেন শ্রমজীবী মানুষগুলো। জেলার শ্রম বিক্রয় হাটে গিয়ে দেখা গেছে অলস বসে আছেন শ্রমিকরা।
জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মা, মধুমতি ও আড়িয়ালখাঁ নদ-নদীর পাড়ের মানুষজন শীতের দাপটে হিমসিম খাচ্ছেন। গত কয়েক দিন ধরে শীতের সাথে দেখা দিয়েছে প্রচণ্ড ঘন কুয়াশা। সন্ধ্যার পরেই সর্বত্র শিশির পড়তে থাকে। কুয়াশার কারণে জনজীবনে স্থবির হয়ে পড়েছে।
জেলা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক সুরুজুল আমিন জানান, জেলায় শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।