ফেনীর ছাগলনাইয়া পৌরসভা নির্বাচনে একজন মেয়র প্রার্থীর কাছ থেকে মনোনয়নপত্র ছিনতাই ও ওই প্রার্থীকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রবিবার (১০ অক্টোবর) বিকালে উপজেলা গেইট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অপহরণের পর প্রায় চার ঘণ্টা অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটকে রাখে অপহরণকারীরা।
মনোনয়পত্র জমা দেয়ার সময়সীমা শেষ হওয়ার পর রাতে পৌরসভার বাঁশপাড়া এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে তাকে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।
ঘটনাস্থল থেকে শিশির ও মেজবাহ উদ্দিন নামে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
অপহৃত মেয়র প্রার্থী আবদুল হালিম (৩৮) ছাগলনাইয়া পৌরসভার পশ্চিম ছাগলনাইয়া গ্রামের ছিদ্দিক আহম্মদের ছেলে।
আবদুল হালিম অভিযোগ করেন, বিকালে তিনি তার কয়েকজন আত্মীয়কে সাথে নিয়ে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া জন্য যাচ্ছিলেন। উপজেলা গেইটে গেলে বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. মোস্তফার কয়েকজন সমর্থক তার গতিরোধ করেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা তাকে মারধর শুরু করেন। তার হাতে থাকা মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেয় এবং তাকে টেনে হেঁচড়ে একটি অটোরিকশায় তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটকে রাখেন। ফলে তিনি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেন নি।
ছাগলনাইয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সোহেল পারভেজ জানান, ঘটনাটি শোনার পর তিনি ছাগলনাইয়া যান এবং ঘটনার সত্যতা দেখতে পান।
তিনি জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।
পড়ুন: কলেজ ছাত্রকে অপহরণ: ছাত্রলীগ নেতাসহ আটক ৩
এ বিষয়ে ছাগলনাইয়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান মেয়র এবং আ. লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মোস্তফাকে একাধিকবার তার মুঠোফোনে কল দিলেও ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন জানান, তার কার্যালয়ের সামনে হৈচৈ হয়েছে। তবে নির্বাচন কার্যালয়ে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। কেউ অভিযোগও করেনি। বাইরে কোন ঘটনা হলে সেটি তার জানার কথা নয়।
ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। তবে বিস্তারিত কিছুই জানেন না।
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, এক প্রার্থীর অভিযোগে ভিত্তিতে পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের আটকের চেষ্টা চলছে।
তফসিল অনুযায়ী, ছাগলনাইয়া পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাই ১১ অক্টোবর, আপিল দায়ের ১২ থেকে ১৪ অক্টোবর, আপিল নিষ্পত্তির ১৬ অক্টোবর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৭ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ অক্টোবর এবং ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ ২ নভেম্বর।
পড়ুন: বিয়ে বাড়ি থেকে বর উধাও: অপহরণ নাকি আত্মগোপন!
গাইবান্ধায় হরিজন সম্প্রদায়ের কিশোরীকে অপহরণের পর ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ অভিযোগ