আটক ব্যক্তিরা হলো- চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের রায়হান মন্ডলের ছেলে শাহীন ইসলাম ওরফে মাহবুব আলম (২২), ময়মনসিংহ সদরের চকছত্রপুর গ্রামের মোহাম্মদ আরীর ছেলে সিয়াম আল মাহমুদ(১৯), সিলেটের মোগলাবাজারের ঘাটঘর গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে নাসরিন আক্তার যোয়াইরা (২১) ও চট্রগ্রামের সীতাকুন্ডের বড় দারোগারহাট গ্রামের খায়রুল ইসলামের ছেলে সাখাওয়াত করিম (৩৬)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ র্যাব কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব কমান্ডিং অফিসার লেফন্যান্টে কর্নেল এফতেখার উদ্দিন এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, আটক সকলেই জেএমবির সক্রিয় সদস্য। তারা ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একে অপরের সাথে পরিচিত হয়। একটি টেলিগ্রাম গ্রুপ খুলে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতো। হিজরত করার উদ্দেশ্যে তারা আলোচনার মাধ্যমে বাড়ি থেকে বের হয়ে এসে কমলাপুর রেল স্টেশনে একত্রিত হয়। পরে তারা ময়মনসিংহে অবস্থান করার জন্য বুধবার বিকালে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বিদ্যাগঞ্জ রেল স্টেশনে নামার পর চারজনকে আটক করা হয়।
তাদের কাছ থেকে ৭টি ‘জিহাদি বই’ পাওয়া গেছে জানিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জিহাদের উদ্দেশ্যে বিদেশে গিয়ে ট্রেনিং নেয়ার জন্য একত্রিত হয়েছিল বলে স্বীকার করেছে।
তাদেরকে র্যাব কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশের কাছে তুলে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে ময়মনসিংহ সদরের চকছত্রপুর গ্রামের সিয়াম আল মাহমুদ গত নভেম্বর মাসে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সিয়ামের নিখোঁজের বিষয়টি তার মা আঞ্জুমান আরা র্যাব কার্যালয়ে জানিয়েছিলেন বলে জানান তারা।