মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. আল ইসলাম জীবন নিহত রাশিদা বেগমের জামাতা।
মঙ্গলবার ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফারহানা ফেরদৌস আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। একই সাথে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, রাশিদা বেগম তার মেয়ে সীমা, নাতনি বন্যা ও তার জামাই সোহাগ, নাতনি জুঁই ও নাতি সানীকে নিয়ে পশ্চিম ইসলামবাগের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। রাশিদা বেগমের ছোট মেয়ে সুমীকে শরীয়তপুরের জাজিরা থানার নূরুল হক সরদারের ছেলে আল ইসলাম জীবনের সাথে বিবাহ দেন। তাদের দুই সন্তান জুঁই ও সানী। দ্বিতীয় সন্তান সানীর জন্মের সময় সুমী মারা যান। মৃত্যুর আগে সুমী তার দুই সন্তানকে দেখে রাখার জন্য মা রাশিদা বেগমকে বলেন। সুমী মারা যাওয়ার পর জীবন তার সন্তানদের নিজের কাছে নেয়ার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। আদালত বাচ্চাদের রাশিদা বেগমের কাছে রাখার আদেশ দেয়। এরপর জীবন সময়ে-অসময়ে বাচ্চাদের দেখার কথা বলে রাশিদা বেগমের বাসায় যাতায়াত করতেন।
২০১৬ সালের ৪ জুলাই দুপুরে ওই বাসায় গিয়ে বাচ্চাদের নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রাশিদা বেগমকে কুপিয়ে জখম করেন জীবন। এ সময় রাশিদা বেগমের মেয়ে সীমা ও তার নাতনি বন্যা ঠেকাতে গেলে তাদেরও কুপিয়ে জখম করেন তিনি। এতে রাশিদা বেগম ঘটনাস্থলে এবং বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বন্যা মারা যান। এর দুই দিন পর ৬ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সীমাও মারা যান। এ ঘটনায় রাশিদা বেগমের ছোট ভাই সাহাবুদ্দিন ৬ জুলাই চকবাজার থানায় জীবনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ৯ আগস্ট জীবনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ এ রায় ঘোষণা করা হলো।