তবে পানির দাম বাড়লেও এই প্রতিষ্ঠানটির সেবার মান কতটা উন্নত হবে সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে অন্তত এর সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগের কারণে।
পানির মান, পানি সরবরাহ থেকে শুরু করে ওয়াসার বিরুদ্ধে এর সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগের শেষ নেই। গরমকালে পানির সংকট যেন ঢাকাবাসীকে হাঁপিয়ে তোলে। দিনের পর দিন বিভিন্ন এলাকায় পানির সংকট চরম আকার ধারণ করে।
তবে এবার গরম পড়ার আগেই পানির সংকটে পড়েছেন রাজধানীর বাড্ডা এলাকার বাসিন্দারা। গত ছয়দিন ধরে মধ্যবাড্ডা পোস্ট অফিস থেকে শুরু করে পাঁচতলা বাজার হয়ে কৃষি ব্যাংক রোডের বিভিন্ন ফ্ল্যাটে পানি নেই। এতে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন ওই এলাকার অন্তত শতাধিক পরিবার।
বেশি ভোগান্তিতে রয়েছেন যাদের বাসায় ছোট বাচ্চা রয়েছে তারা। গোসল করা তো দূরের কথা, জারের পানি কিনে রান্নার কাজটা কোনোরকমে সারছেন তারা।
ওয়াসার সাথে যোগাযোগ করা হলে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কথা বলেছে প্রতিষ্ঠানটি। এই কথা গত কয়েকবছর ধরে বলে আসছে তারা। কিন্তু এর সমাধান মেলেনি। যার কারণে আবারও পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী ওয়াসাতে গত কয়েকদিন ধরে অভিযোগ জানিয়ে আসছেন। কিন্তু প্রায় এক সপ্তাহ হতে চললেও এর সমাধান হয়নি। বাড্ডা এলাকার দায়িত্বে থাকা সাব এসিসট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মুরাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন এলাকাবাসী। কিন্তু তিনিও আসছি, আসবো, দেখছি বলে অনেকটা দায় সেরেছেন।
পাঁচতলা বাজার এলাকার বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এক-দুদিন সমস্যা হলে কোনোভাবে মেনে নেয়া যায়। কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে এই এলাকায় পানি নেই। এই সমস্যার সমাধান কতদিনে হবে তা ওয়াসার লোকেরাই ভালো বলতে পারবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘গরম পড়া শুরু করলেই এই এলাকায় পানির সংকট চরম আকার ধারণ করে। ওয়াসার দায়িত্বশীলরা প্রতিবছর পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় পাম্প দিয়ে পানি তুলতে সমস্যার কথা বলেন। কিন্তু এই সমস্যা সমাধানে কোনো উদ্যোগ নেন না।’
এ বিষয়ে পাঁচতলা বাজার এলাকার বাসিন্দা বাড়ির মালিক লোকমান মিয়া জানান, তিনি গত রবিবার ওয়াসায় গিয়ে পানির সংকটের বিষয়টি জানিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান তারা করেননি। সাব এসিসট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মুরাদের সাথেও যোগাযোগ করেছেন বাড়ির মালিক। কিন্তু তিনিও বিষয়টি দেখতে আসার কথা বললেও আসেননি।
এ বিষয়ে জানতে সাব এসিসট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মুরাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
নতুন বাজার, বাড্ডা এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইমরানুল ইসলাম মঙ্গলবার ইউএনবিকে বলেন, হঠাৎ করে গরম বেশি পড়ায় পানির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। দুয়েকদিনের মধ্যে সমাধান হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘ওই এলাকায় ডিপ টিউবওয়েল বসানোর কোনো জায়গা না পাওয়ার কারণে গত তিন বছর ধরে এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা হয়েছে। তারা নিজেরাও চেষ্টা করছেন, আমরাও চেষ্টা করছি। ডিপ টিউবওয়েল বসালে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।’
তবে সাময়িকভাবে এই সমস্যা সমাধানে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে প্রশ্ন করা হলে তিনি রেগে যান এবং আর কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।