এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই কাউন্সিলরের ছেলে ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- গোদাগাড়ী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহীদুল ইসলামের ছেলে ওসমান গণি (১৬) এবং তার সহযোগী রিদুয়ার আলী খন্দকার (১৬) ও তারেক (১৭)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। প্রেমের সূত্র ধরে বিয়ের প্রলোভনে তাকে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুলের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ওই বাড়িতেই তাকে ধর্ষণ করা হয়।
এদিকে ঘটনা জানার পর ওই স্কুলছাত্রীর বাবা তিনজনকে আসামি করে গোদাগাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম বলেন, রাতেই অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
‘এছাড়া ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ক্যাম্পাস থেকে বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার পথে রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় রবিবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের শিকার হয় দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী। তিনি এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভুক্তভোগীর সহপাঠীরা জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে অজ্ঞান করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফেরার পর তিনি সহপাঠীদের সাথে যোগাযোগ করেন। মধ্যরাতে তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় টানা দুদিন ধরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সেই সাথে তারা ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে যাচ্ছেন, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর সাহস না করে।