আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিএনএসিডব্লিউসির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনের সদস্য হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা এবং সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা অনলাইনে যুক্ত হন।
সভায় জাতীয় কর্তৃপক্ষের বর্তমান কর্মকাণ্ড ও ভবিষ্যত কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা ও প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
রাসায়নিক দুর্যোগ ও দুর্ঘটনা মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং বাংলাদেশ পুলিশ তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করে।
আরও পড়ুন:করোনায় দেশে আরও ১৭ মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৩১৮
দেশের সকল স্থল, সমুদ্র ও বিমানবন্দরে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রাসায়নিক দ্রব্য, বিশেষ করে তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্য শনাক্তকরণের জন্য বিদ্যমান রাসায়নিক ল্যাবরেটরিগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি সম্পর্কে কাস্টমসের প্রতিনিধি সবাইকে অবহিত করেন।
সভায় বাংলাদেশের উন্নত রাসায়নিক নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সমন্বিত সংস্থার পাশাপাশি একটি জাতীয় নীতি থাকার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা হয়।
রাসায়নিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিএনএসিডব্লিউসির সভাপতি গুরুত্ব আরোপ করেন।
বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে সক্ষমতা বৃদ্ধির বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রাখার ব্যাপারে সভাপতি মত প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশে তফসিলভুক্ত রাসায়নিক দ্রব্য সংক্রান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সবাইকে একসাথে কাজ করার জন্য ইতিবাচক বোঝাপড়ার মাধ্যমে বৈঠকটি শেষ হয়।