জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে থাকা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইয়াসমিন বিথী আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, বিচারিক আদালতে জামিন না পেয়ে গত ২৪ নভেম্বর কামরুল ইসলাম সাইমুন ও রাফিউল রাব্বি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির এ আবেদন করেন।
গত ৬ নভেম্বর রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের অভিযোগপত্র বিচারের জন্য প্রস্তুত করে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
চলতি বছরের ২৬ জুন বরগুনার সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। এরপর গত ১ সেপ্টেম্বর বিকেলে ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই ভাগে বিভক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন।
রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন- রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি (২৩), আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), হাসান (১৯), মুসা (২২), আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), সাগর (১৯), কামরুল ইসলাম সাইমুন (২১)।
এ মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মুসা এখনও পলাতক রয়েছেন। এছাড়া মৃত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামিনে রয়েছেন। আর বাকি আসামিরা কারাগারে।