শনিবার মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমান দেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে এবং সংক্রমণ ও প্রাণহানির সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনাভাইরাসের চলমান ঝুঁকি বিবেচনায় দেশের যেকোনো ছোট বা বড় এলাকাকে লাল, হলুদ বা সবুজ জোন হিসেবে চিহ্নিত করার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে কিছু এলাকায় প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক জোনিং সিস্টেম বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
গত ১২ জুন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় লাল জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপসনালয়ে সর্বসাধারণের আগমন বন্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, ভয়ানক করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে লাল জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে মসজিদের খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেম ব্যতীত অন্য সব মুসল্লিকে সরকারের পক্ষ থেকে নিজ নিজ বাসস্থানে নামায আদায় এবং জুমার জামায়াতে অংশগ্রহণের পরিবর্তে ঘরে যোহরের নামায আদায়ের নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে।
উল্লেখিত এলাকাগুলোতে মসজিদে জামায়াত চালু রাখার প্রয়োজনে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমসহ পাঁচ ওয়াক্তের নামাযে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অনধিক পাঁচজন এবং জুমার জামায়াতে অনধিক ১০ জন শরিক হতে পারবেন। জনস্বার্থে বাইরের কোনো মুসল্লি মসজিদের ভেতরে জামায়াতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
একই সাথে উল্লেখিত এলাকাগুলোতে অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের স্ব স্ব উপাসনালয়ে সমবেত না হয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে উপাসনা করার জন্য নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে।
এ সময়ে সারা দেশে কোথাও ওয়াজ মাহফিল, তাফসির মাহফিল, তাবলিগি তালিম বা মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা যাবে না। সবাই ব্যক্তিগতভাবে তিলাওয়াত, যিকির ও দুয়ার মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমত ও বিপদ মুক্তির প্রার্থনা করবেন।
অন্যান্য ধর্মের অনুসারীরাও এ সময়ে কোনো ধর্মীয় বা সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের জন্য সমবেত হতে পারবেন না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সব ধর্মের মূলনীতির আলোকে এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে এ নির্দেশনা জারি করা হলো। উল্লেখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা কমিটিকে অনুরোধ জানানো হলো। কোনো প্রতিষ্ঠানে উক্ত সরকারি নির্দেশ না মানা হলে প্রশাসন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।
এর আগে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে ধর্ম মন্ত্রণালয় গত ৬ এপ্রিল দেশের জনসাধারণকে নিজ বাসস্থানে ইবাদত বা উপাসনা করার নির্দেশ প্রদান করে। পরবর্তীতে ৬ মে উক্ত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে মসজিদের সুস্থ মুসল্লিদের উপস্থিতিতে জামায়াতে নামাযের অনুমতি প্রদান করা হয়।