প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রেবেকা মমিন ও এম আব্দুল কুদ্দুস সব সময় মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন।
সংসদে নাটোর-৪ থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল কুদ্দুস এবং নেত্রকোনা-৪ রেবেকা মমিনের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী রাজনীতিবিদ হিসেবে তাদের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক যে শোক প্রস্তাব দিয়ে আমাদের সংসদের অধিবেশন শুরু করতে হয়েছে। ভেবেছিলাম এবারের ব্যতিক্রম হতে পারে। কিন্তু তা হয়নি।
তিনি বলেন, এই সংসদের প্রায় ২৮ জন সদস্য মারা গেছেন যাদের মধ্যে ২৬ জন আওয়ামী লীগের।
আরও পড়ুন: পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় সুইডেনের সরকার আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে: সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আব্দুল কুদ্দুস সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্র। তিনি ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। তিনি খুব সাহসী ছিলেন। নাটোর ছিল আতঙ্কের জায়গা। সেখানে তিনি বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি খুব জনপ্রিয় ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রেবেকা মমিনকে তিনি ছাত্রজীবন থেকেই চিনতেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ যে রাজনীতি করে তা জনগণের কল্যাণের জন্য। সরকার গঠনের পর থেকেই দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের উন্নয়ন তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছেছে। এটা সম্ভব হয়েছে কারণ সংসদ সদস্যরা তাদের দায়িত্ব অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করছেন।
সরকারের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করতে পেরেছি। বাংলাদেশকে আরও উন্নতি করতে হবে।
তিনি সকল সংসদ সদস্যকে নিষ্ঠার সঙ্গে এলাকার মানুষের সেবা করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, মানুষের সেবা করাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি, এর চেয়ে বড় কিছু নেই। রাজনৈতিক নেতাদের জন্য এটাই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।
এছাড়া, মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ধর্মমন্ত্রী ও ময়মনসিংহের সাবেক সংসদ সদস্য মতিউর রহমান, সাবেক এমপি অধ্যাপক পান্না কায়সার এবং সাবেক এমপি মোহাম্মদ উল্লার মৃত্যুতে সংসদ শোকপ্রকাশ করা হয়।
সংসদ মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) সুলতান মাহমুদ, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খান, একুশে পদক বিজয়ী কবি মোহাম্মদ রফিক, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু এমপির স্ত্রী কামরুন্নেসা আশরাফ দিনা, কাজী নাবিল আহমেদ এমপির বাবা ও অধুনালুপ্ত দৈনিক আজকের কাগজের প্রকাশক ও সম্পাদক কাজী শাহেদ আহমেদ, কানিজ ফাতেমা আহমেদ এমপির বাবা কামাল উদ্দিন আহমেদ খান এবং স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষিবিদ কাজী ড.এম বদরুদ্দোজার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে।
শোক প্রস্তাবে বক্তব্য রাখেন- উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, ওশিকা আয়েশা খান, প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাজ্জাদুর রহমান, শফিকুল ইসলাম শিমুল, আশরাফ আলী খান খসরু, আব্দুল আজিজ, মসিউর রহমান রাঙ্গা প্রমুখ।
অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করলে তা সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়।
এক মিনিট নীরবতা পালন ও বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য রুহুল আমিন মাদানী।
পরে বর্তমান সংসদের চলমান সংসদ সদস্যদের মৃত্যুর কারণে প্রথা অনুযায়ী সংসদের বৈঠক মুলতবি করা হয়।
আরও পড়ুন: মামলাজট কমাতে সংসদে অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব (সংশোধন) বিল পাস