মিয়ানমারের সহিংসতায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থী, এই অঞ্চলে চলমান সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত এবং উদ্বাস্তুদের আতিথেয়তাকারী দেশীয় সম্প্রদায়ের জন্য আরও প্রায় দুই কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার অতিরিক্ত মানবিক সহায়তা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তররের মুখপাত্র নেড প্রাইস নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘২০১৭ সালে যখন সাত লাখ ৪০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজারে নিরাপত্তার জন্য পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল, সেই বছরের আগস্ট থেকে এই নতুন অর্থায়নের মাধ্যমে রাখাইন রাজ্য এবং রোহিঙ্গা সংকটে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আমাদের মোট সহায়তা প্রায় দুই দশমিক এক বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।’
তিনি বলেন, এই নতুন তহবিলটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক অংশীদারদের মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের উভয় দিকে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের জীবন রক্ষাকারী সহায়তা প্রদান চালাবে। যার মধ্যে প্রায় ৯ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর আতিথ্য করছে বাংলাদেশ। গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, জাতিগত নির্মূল এবং রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সংঘটিত অন্যান্য ভয়ঙ্কর নৃশংসতা ও নির্যাতন থেকে বাঁচতে প্রায় সাত লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা ২০১৭ সালের আগস্টের পরের মাসগুলোতে তাদের পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের জন্য ৮৭৬ মিলিয়ন ডলার সহায়তার আহ্বান জানাল ইউএনএইচসিআর
এই তহবিল বাংলাদেশি স্বাগতিক সম্প্রদায়ের প্রায় পাঁচ লাখ ৪০ হাজার সদস্য এবং মিয়ানমারে চলমান সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত অন্যদের সহায়তা প্রদান করবে।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকার এবং অন্যান্য দেশের উদারতা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আতিথেয়তার প্রশংসা করেছে। বিশেষ করে এখন যে ‘আমরা এই দীর্ঘ সঙ্কটের ষষ্ঠ বছরে আছি।’
নেড প্রাইস বলেছেন, ‘আমরা সঙ্কটের টেকসই সমাধানের জন্য কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই মানবিক সংকটের জন্য একটি সমন্বিত এবং সহযোগিতামূলক প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে আমরা বাংলাদেশ সরকার, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়, স্বাগতিক সম্প্রদায় এবং মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জনগণের সঙ্গে অংশীদারিত্ব চালিয়ে যাব।’
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা সংকটের প্রতিক্রিয়া সহ বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের দুর্দশা লাঘবের প্রতিশ্রুতিতে অবিচল থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘের ৬ সংস্থার তহবিল বরাদ্দ বাস্তবায়ন