ইউএন নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চতুর্থ বছরে প্রবেশ করা রোহিঙ্গা সঙ্কটের মূলে থাকা কারণগুলো খুঁজে বের করে তা সমাধানের আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
জাতিসংঘের জারি করা এক বিবৃতিতে সংস্থাটির মহাসচিব বলেন, এ সঙ্কটের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ সকলের সাথে সংহতি অব্যাহত রাখবে জাতিসংঘ। ভবিষ্যতে মিয়ানমারে টেকসই উন্নয়ন, মানবাধিকার ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় আঞ্চলিক পক্ষ ও সব স্টেকহোল্ডারদের সাথে কাজ করার জন্য সংস্থাটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সব শরণার্থীর জন্য নিরাপদ, স্বেচ্ছায়, মর্যাদাপূর্ণ এবং স্থায়ী প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরিতে সঙ্কটের মূল কারণগুলো সমাধানে আরও জরুরি ভিত্তিতে কাজ করার আহ্বান জানান গুতেরেস।
রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি উন্নয়নে পুরো দায়িত্ব মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর করছে। তারা কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে মানবিক দুর্ভোগের সমাধানের বাইরেও, দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য জবাবদিহিতা অপরিহার্য।’
মঙ্গলবার রোহিঙ্গা সঙ্কট শুরুর তিন বছর পার হয়েছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সংখ্যালঘুদের প্রধানত মুসলিম, রোহিঙ্গা এবং অন্যান্য সম্প্রদায়কে বাধ্যতামূলক বাস্তুচ্যুত করা পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঘটনা।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। সর্বশেষ ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রাখাইন রাজ্যে গণহত্যা শুরু করলে ৭ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রস্তুতি সত্ত্বেও গত কয়েক বছর চেষ্টা করেও এখনও কোনো রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়নি।