তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কঠোর চাপ তৈরি করা দরকার।’
আরও পড়ুন: সু চি’র সাথে বরিস জনসনের আলোচনা, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিনদে, স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো দি ওসিস বেনেতিজ সালাস ও নরওয়ের রাষ্ট্রদূত অ্যাসপেন রিকতার সেভেন্দসেনের সাথে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়গুলো উত্থাপন করেন।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা যাত্রার তিন বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে। কিন্তু মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ অনুকূল পরিবেশ তৈরি না করায় একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করা সম্ভব হয়নি।
এ সময় তিন রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নির্যাতিত হওয়ার পর নিজভূমি ছেড়ে পালিয়ে আসা ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসাধারণ মানবিকতার প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশে নতুন রাষ্ট্রদূতদের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পারস্পরিক স্বার্থের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
ড. মোমেন এ তিনটি দেশের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে পারস্পরিক স্বার্থে অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে গত এক দশকে বাংলাদেশের নানান উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তাদের অবহিত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুইডিশ, স্পেনীয় এবং নরওয়েজিয়ান বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।
একই সাথে হাইটেক পার্কে আইসিটি খাতে বিনিয়োগের জন্যও আবদুল মোমেন তাদের অনুরোধ করেন।