প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অংশ নেয়া এবং বিভিন্ন ইস্যুতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেয়া নিয়ে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এ কথা বলেন।
তিনি জানান, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রধানমন্ত্রী আগের অধিবেশনে যে প্রস্তাবগুলো দিয়েছিলেন, সেগুলো এখনো প্রাসঙ্গিক রয়েছে। তবে এবার তিনি নতুন প্রস্তাবও দিতে পারেন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি ইঙ্গিত দেন যে সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে চীন ও মিয়ানমারের সাথে বৈঠকে বসবে বাংলাদেশ। এ বৈঠক ২৪ বা ২৫ সেপ্টেম্বর হতে পারে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
সূচি অনুযায়ী, শুক্রবার বিকালে নিউইউয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ৩টা ২৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় (স্থানীয় সময়) আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
বিরতি শেষে প্রধানমন্ত্রী ২২ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় (স্থানীয় সময়) যুক্তরাষ্ট্রের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন।
স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা ২৫ মিনিটে জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ জিয়াউদ্দিন ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন।
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদান ছাড়াও উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন আলোচনাসহ নানা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
তিনি ২৪ সেপ্টেম্বর লোটে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলের কেনেডি রুমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন। সব শেষে ২৯ সেপ্টেম্বর দেশের উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করে ১ অক্টোবর ঢাকায় পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী।