বুধবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সাথে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন বলে বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি হামিদ সফলভাবে নিজের দায়িত্ব সম্পন্ন করায় হাইকমিশনার ব্লেইককে অভিনন্দন জানান।
তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে যুক্তরাজ্যের সমর্থনের কথা স্মরণ করে বলেন, দুদেশের মধ্যকার সম্পর্ক খুবই পুরনো ও ঐতিহাসিক।
‘প্রায় ৬ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। তারা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন,’ যোগ করেন হামিদ।
রোহিঙ্গা সংকটে যুক্তরাজ্যের সমর্থনের প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে এ বিষয়ে তাদের সমর্থন ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে। তার আরও আশা, রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাজ্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে দৃঢ় সমর্থন দেবে।
এ সময় নিজের দায়িত্ব পালনকালে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেইক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সফলভাবে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে এবং আশা প্রকাশ করেন যে বর্তমান সরকারের নেয়া রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ সফলতার সাথে বাস্তবায়িত হবে।
১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয়দান মানবতার এক অনন্য নজির উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, ‘এতো বিপুল সংখ্যক বাস্তুচ্যুত মানুষকে খাদ্য, বস্ত্র ও চিকিৎসা সহায়তা দিয়ে আশ্রয় দেয়া বাংলাদেশের জন্য এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। এ সমস্য সফলভাবে সমাধানে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের পাশে থাকবে।’
রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।