তিনি সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে বলেন, ‘মিয়ানমারের ওপর আরও চাপ দিতে হবে।’
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
রোহিঙ্গা বিষয়ে আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশকে নিজ দেশের সমর্থন দেয়ার আশ্বাস দেন ফরাসি মন্ত্রী।
সেই সাথে তিনি এ সংকট যেভাবে বাংলাদেশ মোকাবিলা করেছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ফ্লোরেন্স পার্লে বলেন, বাংলাদেশের সাথে ফ্রান্সের অনেক বিষয়ে মিল রয়েছে এবং উভয় দেশই বিশ্বব্যাপী অনেক ক্ষেত্রে, বিশেষ করে শান্তিরক্ষা মিশনে একসাথে কাজ করছে।
তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণ দেয়ার বিষয়ে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনা ও ফ্লোরেন্স পার্লে নিজেদের দেশ এবং বিশ্বের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী জানান যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে বাংলাদেশে চিহ্নিত তিনজনের মধ্যে দুজন এসেছেন ইতালি থেকে। ‘আক্রান্ত ব্যক্তিদের আলাদা করে হাসপাতালে রাখা হয়েছে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্বব্যাপী সৃষ্ট পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে উদযাপন ভিন্ন উপায়ে করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের প্রতিরক্ষা খাতে প্রশিক্ষণের বিষয়টি সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে রয়েছে এবং এ তিনি ক্ষেত্রে ফ্রান্সের সহযোগিতা কামনা করেন।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বিষয়ে তিনি জানান, যেহেতু এ স্যাটেলাইটটির মেয়াদ ১৫ বছর তাই সরকার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণের উদ্যোগ নেবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দুদেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে বিদ্যমান সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশ খুশি। ‘এ খাতে ফ্রান্সের সাথে আরও সহযোগিতা দেখতে পেলে বাংলাদেশ খুশি হবে।’
তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ফ্রান্স সরকার, দেশটির জনগণ ও প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক আন্দ্রে মার্লোসহ শীর্ষ বুদ্ধিজীবীদের সমর্থনের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।
মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, প্রতিরক্ষা সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত জ্যাঁ মারি সুহ অন্যান্যের মাঝে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।