পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনকে লেখা এক চিঠিতে এ প্রতিজ্ঞার কথা জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভারওয়েজ ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ড. মোমেনের সাথে সাক্ষাত করার সময় ডাচ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ চিঠি হস্তান্তর করেন।
২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর নেদারল্যান্ড এবং কানাডার দেয়া যৌথ বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিপক্ষে দায়ের করা গাম্বিয়ার মামলার সমর্থনে সার্বিক সহযোগিতার অঙ্গীকার করা হয়েছিল। ওইসময় নেদারল্যান্ড এবং কানাডা এ আদালতে একটি পৃথক যৌথ আবেদন পেশ করবে বলে জানানো হয়, উল্লেখ করেন নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত।
মিয়ানমারে গণহত্যা বিচার ও তা প্রতিরোধে গত বছর মিয়ানমারের বিপক্ষে ১৯৪৮ সালের কনভেনশন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে গাম্বিয়া।
বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় পাওয়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য নেদারল্যান্ডের মানবিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে রোহিঙ্গা সঙ্কটের টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে নেদারল্যান্ড সরকারের অঙ্গীকারের বিষয়টিও তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত।
এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে ন্যায়বিচার এবং জবাবদিহিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন হ্যারি ভারওয়েজ।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়টি বাংলাদেশ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর সাথে সমন্বয় করে রাখাইন রাজ্যে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টিতে এবং রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে নেদারল্যান্ডকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান মন্ত্রী।