রোহিঙ্গা শরণার্থী ও আশ্রয়দাতা দেশগুলোর সহায়তার জন্য বৃহস্পতিবার এ দাতা সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)।
ফর্টিফাই রাইটসের প্রধান নির্বাহী অফিসার ম্যাথু স্মিথ বলেন, ‘গণহত্যাই হলো মানবিক প্রয়োজনের মূল কারণ এবং দাতা সরকারগুলোর এ বিষয়টি স্বীকার করা উচিত।’
‘আমরা যদি কখনো গণহত্যা মুক্ত পৃথিবীতে বেঁচে থাকার আশা করি, তবে এর কারণ উদঘাটন করতে হবে। অপরাধগুলোর কারণ অনুসন্ধানে ব্যর্থতা বছরের পর বছর ধরে এমন বার্ষিক অর্থ সরবরাহের সম্মেলন করে যেতে হবে,’ বলেন তিনি।
চলতি সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে এক যৌথ চিঠিতে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের বিষয়ে মার্কিন সরকারকে গণহত্যা নির্ধারণের আহ্বান জানিয়েছে ফর্টিফাই রাইটস রিফিউজি ইন্টারন্যাশনাল এবং অন্যান্য ৩৩টি সংস্থা।
চিঠিতে বলা হয়, গণহত্যায় দৃঢ় সংকল্প মিয়ানমার যাতে আরও নৃশংসতা করা থেকে বিরত থাকে এবং শেষ পর্যন্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের পরিস্থিতি তৈরি করে তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরণের বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক ব্যস্ততা ও চাপ জোরদার করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেয়া দরকার।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি ‘বাস্তবিক ব্যবস্থা’ সম্পর্কিত এক নথিতে স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার, যার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়া হবে বলে মনে করা হয়েছিল।
পরবর্তীতে ওই বছরের (২০১৮) নভেম্বরে ও ২০১৯ সালের আগস্টে দুই দফায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। তার আগে ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর প্রত্যাবাসন চুক্তিতে স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার।