লকডাউন চলাকালীন জনসাধারণ জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে পারবেন না। আর এ জন্য মানুষকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে কাজ করবে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) ২০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যরিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে গত ৩০ জুন অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় রেড জোন ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
গত মাসে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের রাজাবাজার এলাকায় ২১ দিনের লকডাউন দেয়া হয়, যা সম্প্রতি শেষ হয়েছে। ওই এলাকাতেও ২১ দিন ন্যায্যমূল্যে জনসাধারণকে প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করেছে ই-ক্যাবের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো।
ঢাকা শহরে লকডাউন এলাকায় সেবা দেয়ার জন্য সক্ষম এবং বিগত দিনের সেবার ওপর বিশ্লেষণ করে এটুআই এর তত্ত্বাবধানে ই-ক্যাবের মোট ৭০টি সদস্য প্রতিষ্ঠানকে বাছাই করা হয়েছে।
ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার বলেন, ‘আমরা দুই সিটি মেয়রকে নিশ্চয়তা দিয়েছি যে স্বাস্থবিধি মেনে ন্যায্যমূল্যে ঘরে থাকা মানুষের কাছে নিত্যপণ্য পৌঁছে দিতে চাই। আমাদের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে সে কাজটি দক্ষতার সাথে করে আসছে। আশা করি ওয়ারীতেও এর ব্যতিক্রম হবে না।’
ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল জানান, ওয়ারীতে ই-ক্যাবের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো গাড়িতে করে গিয়ে পণ্য ঘরে ঘরে পৌছে দেবে। ‘আমাদের একটি টিম সার্বক্ষণিক বিষয়টি তদারকি করবে এবং সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকবে এটুআই।’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতাধীন একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) কর্মসূচির হেড অব ই-কমার্স রেজওয়ানুল হক জামি বলেন, ‘আমরা আসলে রাজাবাজারের অপারেশনটাকে মডেল হিসেবে দেখতে চাই। ওয়ারীতে ফার্মেসি ছাড়া সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে। জরুরি প্রয়োজনে নিত্যপণ্যের জন্য ২/৩টি প্রতিষ্ঠান সীমিত সময়ের জন্য স্বল্প পরিমাণে পণ্য বাসায় ডেলিভারি দিতে পারবে। জরুরি প্রয়োজনে শুধুমাত্র দুটি গেট দিয়ে প্রবেশ ও বের হওয়া যাবে।’
পুলিশ, সেনাসদস্য, এটুআই ও ই-ক্যাব প্রতিনিধি ছাড়াও স্থানীয় স্বেচ্চাসেবকরা ওয়ারীতে দায়িত্ব পালন করবেন।