ঝালকাঠিতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মো. হামজালাল শেখ নামে লঞ্চটির এক মালিককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক (এএসপি) এ এন এম ইমরান খান জানান, সোমবার ভোরে কেরানীগঞ্জ থেকে হামজালালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের করা মামলায় ঢাকার নৌআদালত লঞ্চটির চার মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- লঞ্চটির চারজন মালিক মো. হামজালাল শেখ, মো. শামীম আহম্মেদ, মো. রাসেল আহাম্মেদ ও ফেরদৌস হাসান রাব্বি, লঞ্চের ইনচার্জ মাস্টার মো. রিয়াজ সিকদার, ইনচার্জ চালক মো. মাসুম বিল্লাহ, দ্বিতীয় চালক আবুল কালাম ও দ্বিতীয় মাস্টার মো.খলিলুর রহমান।
আরও পড়ুন: চলন্ত লঞ্চে আগুন: নিহতদের ৫০ লাখ ও দগ্ধদের ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবিতে রিট
এছাড়া লঞ্চ ও এর চালকদের লাইসেন্স স্থগিত করেছে নৌপরিবহন বিভাগ।
এ ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য রবিবার নৌপরিবহন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যদের লঞ্চটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দিবাগত ৩টায় ঢাকা থেকে প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চটিতে আগুন লাগে। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ৭০ জনের বেশি আহত হয়েছেন এবং আহতদের অনেকেই বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তবে লঞ্চটিতে ঠিক কত জন যাত্রী ছিলেন এবং নিখোঁজ যাত্রীর সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: লঞ্চে আগুন: বাবা-মেয়ে দগ্ধ, বাঁচতে পারেনি মা