এমভি অভিযান-১০
লঞ্চে আগুন: প্রতিবেদন জমা দিলো তদন্ত কমিটি
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
সোমবার রাতে কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেয় বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘নৌপরিবহন সচিবের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। তিনি করোনা আক্রান্ত। আমাকে প্রতিবেদনটি দেখতে হবে। একবার দেখার পর আমি বিস্তারিত বলতে পারবো।’
তিনি বলেন, ‘যত দূর আমি জানি, এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক, শ্রমিক ও চালকদের ত্রুটি উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। ডকইয়ার্ডেরও সমস্যা ছিল।’
আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯
ইঞ্জিনে সমস্যা ছিল উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটার জন্য ডকইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ দায়ী। এজন্য তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।
এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ৩০ ডিসেম্বর কমিটিকে তদন্ত সম্পন্ন করতে আরও তিনদিন দেয়া হয়।
২৪ ডিসেম্বর, নৌপরিবহন মন্ত্রণালেয়র যুগ্মসচিব তোফায়েল আহমেদকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে মন্ত্রণালয়। তাদের তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা বলা হয়। তবে তারা সেদিন প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি।
আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিদগ্ধদের হাসপাতালে দেখতে গেলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
এদিকে গত ২৪ ডিসেম্বর ভোররাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া,রেড ক্রিসেন্ট বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলা কার্যালয়ের করা তালিকা অনুযায়ী,গত বুধবার পর্যন্ত অন্তত ৫৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
২ বছর আগে
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৭, এখনও নিখোঁজ ৫৮
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৭ জনে এ দাঁড়িয়েছে।
রেড ক্রিসেন্ট বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলা কার্যালয়ের তালিকা অনুযায়ী, বুধবার পর্যন্ত অন্তত ৫৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইয়ুব হোসেন জানান, মৃত শাহিনুর (৪৫) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬
আগের দিন, সুগন্ধা নদী থেকে আরও দুটি লাশ উদ্ধারে মৃতের সংখ্যা ৪৬ জনে পৌঁছেছিল।
জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শফিক জানান, সকাল ৯টার দিকে জেলার সুগন্ধা-বিশখালী নদীর মোহনার চরকাঠি থেকে অজ্ঞাতনামাদের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজন ৪২ বছর বয়সী পুরুষ এবং আরেকজন ৩২ বছর বয়সী নারী।
লাশ দুটি আংশিক পুড়ে গেছে বলে জানান শফিক।
এদিকে, লঞ্চ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে মৃত্যুর জন্য দায়ী করে লঞ্চ মালিকদের একজন হামজালাল শাহ ও লঞ্চ স্টাফসহ ৮ জনকে আসামি করে ঝালকাঠির থানায় সোমবার মধ্য রাতে একটি মামলা হয়েছে।
ঢাকার বকসনানগর এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে মনির হোসেন বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
লঞ্চ ট্রাজেডির ঘটনায় তার বোন তাসলিমা আক্তার (৩০), তাসলিমার বড় মেয়ে সুমাইয়া আক্তার মিম (১২) ও সুবর্না আক্তার তানিয়া ( ৮) ও তাসলিমার ভাতিজা জুনায়েদ ইসলাম বায়েজিদ (২০) নিখোঁজ রয়েছে। তারা এই লঞ্চযোগে একসঙ্গে বরগুনায় তাসলিমা আক্তারের শ্বশুরবাড়ী যাচ্ছিল।
পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
লঞ্চে আগুন: কেরানীগঞ্জ থেকে এক মালিক গ্রেপ্তার
এর আগে সোমবার ভোরে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মো. হামজালাল শেখ নামে লঞ্চটির এক মালিককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক (এএসপি) এ এন এম ইমরান খান জানান, কেরানীগঞ্জ থেকে হামজালালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের করা মামলায় ঢাকার নৌআদালত লঞ্চটির চার মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দিবাগত ৩টায় ঢাকা থেকে প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চটিতে আগুন লাগে।
২ বছর আগে
লঞ্চে আগুন: কেরানীগঞ্জ থেকে এক মালিক গ্রেপ্তার
ঝালকাঠিতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মো. হামজালাল শেখ নামে লঞ্চটির এক মালিককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক (এএসপি) এ এন এম ইমরান খান জানান, সোমবার ভোরে কেরানীগঞ্জ থেকে হামজালালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের করা মামলায় ঢাকার নৌআদালত লঞ্চটির চার মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- লঞ্চটির চারজন মালিক মো. হামজালাল শেখ, মো. শামীম আহম্মেদ, মো. রাসেল আহাম্মেদ ও ফেরদৌস হাসান রাব্বি, লঞ্চের ইনচার্জ মাস্টার মো. রিয়াজ সিকদার, ইনচার্জ চালক মো. মাসুম বিল্লাহ, দ্বিতীয় চালক আবুল কালাম ও দ্বিতীয় মাস্টার মো.খলিলুর রহমান।
আরও পড়ুন: চলন্ত লঞ্চে আগুন: নিহতদের ৫০ লাখ ও দগ্ধদের ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবিতে রিট
এছাড়া লঞ্চ ও এর চালকদের লাইসেন্স স্থগিত করেছে নৌপরিবহন বিভাগ।
এ ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য রবিবার নৌপরিবহন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যদের লঞ্চটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দিবাগত ৩টায় ঢাকা থেকে প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চটিতে আগুন লাগে। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ৭০ জনের বেশি আহত হয়েছেন এবং আহতদের অনেকেই বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তবে লঞ্চটিতে ঠিক কত জন যাত্রী ছিলেন এবং নিখোঁজ যাত্রীর সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: লঞ্চে আগুন: বাবা-মেয়ে দগ্ধ, বাঁচতে পারেনি মা
২ বছর আগে
এমভি অভিযান-১০ এর মালিকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ঝালকাঠিতে এমভি আভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় লঞ্চটির চার মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকার নৌ আদালত।
রবিবার নৌপরিবহন অধিদপ্তরের করা মামলায় এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন নৌ আদালতের বিচারক জয়নাব বেগম। নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক শফিকুর রহমান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক শফিকুর রহমান বাদী হয়ে আদালতে মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- লঞ্চটির চারজন মালিক; মো. হামজালাল শেখ, মো. শামীম আহম্মেদ, মো. রাসেল আহাম্মেদ ও ফেরদৌস হাসান রাব্বি, লঞ্চের ইনচার্জ মাস্টার মো. রিয়াজ সিকদার, ইনচার্জ চালক মো. মাসুম বিল্লাহ, দ্বিতীয় চালক আবুল কালাম ও দ্বিতীয় মাস্টার মো.খলিলুর রহমান।
আরও পড়ুন: চলন্ত লঞ্চে আগুন: নিহতদের ৫০ লাখ ও দগ্ধদের ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের দাবিতে রিট
এছাড়া লঞ্চ ও এর চালকদের লাইসেন্স স্থগিত করেছে নৌ পরিবহন বিভাগ।
অন্যদিকে, এ ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য রবিবার নৌপরিবহন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যদের লঞ্চটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দিবাগত ৩টায় ঢাকা থেকে প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চটিতে আগুন লাগে। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ৭০ জনের বেশি আহত হয়েছেন এবং আহতদের অনেকেই বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তবে লঞ্চটিতে কতজন যাত্রী ছিলেন এবং নিখোঁজ যাত্রীদের সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: লঞ্চের ইঞ্জিন কক্ষ থেকেই আগুনের সূত্রপাত: তদন্ত কমিটি
ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মালিকসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
২ বছর আগে
লঞ্চের ইঞ্জিন কক্ষ থেকেই আগুনের সূত্রপাত: তদন্ত কমিটি
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আর ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত লঞ্চটির ইঞ্জিন কক্ষ থেকে হয়েছে বলে জানিয়েছেন এ ঘটনায় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক যুগ্ম সচিব মো. তোফায়েল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘ঝালকাঠিতে মর্মান্তিক লঞ্চ দুর্ঘটনার বিষয়টি আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। একাধিকবার ঘটনাস্থল ও লঞ্চ পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে মনে হয়েছে ইঞ্জিন কক্ষ (রুম) থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। পরবর্তীতে আরও কিছু বিষয়ের কারণে এটি ছড়িয়ে পড়েছে।’
রবিবার বরগুনার সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলতে এসে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: লঞ্চে আগুন: সুগন্ধা নদীতে তৃতীয় দিনের মতো চলছে উদ্ধার অভিযান
তোফায়েল ইসলাম বলেন, ‘তদন্ত এখনও চলমান। তাই কংক্রিট কোনো তথ্য দেয়া যাচ্ছে না। তবে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে একটি সুষ্ঠু তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা উদঘাটন করা যায়।’
দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চের কোনো স্টাফের সঙ্গে তারা এখনও কথা বলতে পারেননি বলেও জানান তিনি।
এদিকে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধানে টানা তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, সুগন্ধা নদীতে ঘটনাস্থলের অংশ পাশের এলাকায় উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে।
তিনি বলেন,‘বেলা ১১টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নদী থেকে নতুন করে আর কোন লাশ উদ্ধার হয়নি।’
জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা আবু সাঈদ জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত নিখোঁজ ২৫ জনের তালিকা করা হয়েছে।
এর আগে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে নিহত অজ্ঞাত পরিচয়ের ২৩ জনের লাশ শনিবার দুপুর ১২টায় বরগুনা সদর উপজেলার পোটকাখালী সরকারি গণকবরে দাফন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চলন্ত লঞ্চে আগুন: বরগুনায় গণকবরে অজ্ঞাত ২৩ লাশ দাফন
প্রসঙ্গত, শুক্রবার গভীর রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার উপকূলে সুগন্ধা নদীর মাঝখানে ৮০০ যাত্রী নিয়ে ‘অভিযান-১০’ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
শনিবার রাত পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ৭০ জনের বেশি আহত হয়েছেন এবং তাদের অনেকেই বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
২ বছর আগে
ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মালিকসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এমভি অভিযান ১০ লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বরগুনার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাজমুল ইসলাম নাসির বাদী হয়ে রবিবার সকাল ৯টায় বরগুনা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে মামলার আবেদন করেন।
আদালতের বিচারক মুহাম্মদ মাহবুব আলম আবেদন গ্রহণ করে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন।
আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আখতার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আইনজীবী সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, লঞ্চে আগুনের ঘটনায় মালিকসহ স্টাফদের গাফেলতি সুষ্পষ্ট। আলোচিত এ ঘটনায় বাদী সংক্ষুদ্ধ হয়ে মামলার আবেদন করেছিলেন। বিজ্ঞ আদালত আবেদন গ্রহণ করে মামলাটি এজাহার হিসেবে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানাকে আদেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী অ্যাডভোকেট নাজমুল ইসলাম নাসির বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের তথ্যে আমি নিশ্চিত হয়েছি, মামলার আসামিদের গাফিলতির কারণে আগুন, মৃত্যু, আহত ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের বিচার হওয়া উচিত বলে আমি মনে করেছি। এ কারণেই আমি ন্যায় বিচারের স্বার্থে স্বপ্রনোদিত হয়ে মামলাটি করেছি।
আরও পড়ুন: লঞ্চে আগুন: সুগন্ধা নদীতে তৃতীয় দিনের মতো চলছে উদ্ধার অভিযান
লঞ্চে আগুন: বাবা-মেয়ে দগ্ধ, বাঁচতে পারেনি মা
২ বছর আগে
লঞ্চে আগুন: সুগন্ধা নদীতে তৃতীয় দিনের মতো চলছে উদ্ধার অভিযান
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধানে টানা তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, সুগন্ধা নদীতে ঘটনাস্থলের অংশ পাশের এলাকায় উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে।
তিনি বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নদী থেকে নতুন করে আর কোন মরদেহ উদ্ধার হয়নি।’
জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব পালন কারী কর্মকর্তা আবু সাঈদ জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত নিখোঁজ ২৫ জনের তালিকা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চলন্ত লঞ্চে আগুন: বরগুনায় গণকবরে অজ্ঞাত ২৩ লাশ দাফন
এর আগে লঞ্চ অগ্নিকাণ্ডে নিহত অজ্ঞাত পরিচয়ের ২৩ জনের লাশ শনিবার বেলা ১২ টায় বরগুনা সদর উপজেলার পোটকাখালী সরকারি গণকবরে দাফন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার গভীর রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার উপকূলে সুগন্ধা নদীর মাঝখানে ৮০০ যাত্রী নিয়ে ‘অভিযান-১০’ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
শনিবার রাত পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ৭০ জনের বেশি আহত হয়েছেন এবং তাদের অনেকেই বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পড়ুন: ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ৩৩ মরদেহ বরগুনায় পৌঁছেছে
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ৩০ জনের জানাযা সম্পন্ন
২ বছর আগে
ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ৩৩ মরদেহ বরগুনায় পৌঁছেছে
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৩৩ মরদেহ বরগুনায় পৌঁছছে।
বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান ইউএনবিকে জানান, শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে লাশবাহী ট্রাকে করে মরদেহগুলো বরগুনা সদর হাসপাতালে এসে পৌঁছায়।
এসময় স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে বরগুনা সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণ। স্কাউটসের স্বেচ্ছাসেবকরা গাড়ী থেকে লাশগুলো নামিয়ে সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখে।
পরিচয়বিহীন লাশ গুলোর ডিএনএ নমুনা রেখে ২৫ ডিসেম্বর) শনিবার পোটকা খালি গোরস্থানে দাফন করা হবে বলে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার গভীর রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার উপকূলে সুগন্ধা নদীর মাঝখানে ৮০০ যাত্রী নিয়ে ‘অভিযান-১০’ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৩৯ জন নিহত ও ৭২ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: আগুন লাগার পরও লঞ্চ ৪০ মিনিট চলে
আহতদের চিকিৎসা সহায়তায় সরকার পাশে দাঁড়াবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
লঞ্চের আগুনে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে দেড় লাখ টাকা দেয়ার ঘোষণা
২ বছর আগে
আগুন লাগার পরও লঞ্চ ৪০ মিনিট চলে
‘এমভি অভিজান-১০’ এ আগুন লাগার সাথে সাথে তাৎক্ষণিকভাবে তীরে ভিড়লে হয়তো এতো বড় দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। সেক্ষেত্রে বেঁচে যেত সবাই। এমনটাই মনে করছেন মাঝ নদীতে অগ্নিকাণ্ডে লাশের স্তুপ গড়া লঞ্চ এমভি অভিযান ১০’র বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা।
রাত ২টা নাগাদ বরিশাল নদী বন্দর পার হয় লঞ্চটি। এর ঠিক ২০-২৫ মিনিট পর সুগন্ধি নদীর দপদপিয়া পয়েন্ট পার হওয়ার সময় প্রথম ইঞ্জিন রুমে আগুন জ্বলতে দেখেন লঞ্চের যাত্রী বরগুনার বামনা উপজেলার বাসিন্দা রাশেদ।
বরিশাল শেরে বাংলা চিকিৎসা মহবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাশেদ বলেন, ‘লঞ্চ বোঝাই ছিল যাত্রী। কোথাও জায়গা না পেয়ে ইঞ্জিন রুমের পাশেই ছিলাম। দপদপিয়া এলাকা পেরুনোর পরপরই ইঞ্জিন রুমের পাশে জ্বলতে দেখি আগুন। তখন অবশ্য তা খুব বেশি ছিল না। এই অবস্থাতেই চলতে থাকে লঞ্চ। সেই সাথে স্টাফরা চেষ্টা চালাতে থাকে তা নেভানোর। এভাবে প্রায় ৪০-৪৫ মিনিট চলার পর হঠাৎ করেই বেড়ে যায় আগুনের ভয়াবহতা।’
আগুন লাগার পর লঞ্চ তীরে না ভিড়িয়ে চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন সদ্য সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল আহসান বাদল।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘চালকের অদক্ষতা এক্ষেত্রে বড় অপরাধ হিসেবে কাজ করেছে। আগুন লাগার পর ঝুঁকি না নিয়ে লঞ্চ থামিয়ে দিলে হয়তো এতো বড় মর্মান্তিক ঘটনা ঘটতো না।’
যাত্রীদের দাবি ইঞ্জিন রুমে আগুনের সূত্রপাত
ইঞ্জিন রুমের পাশেই থাকা চিকিৎসাধীন দগ্ধ যাত্রী বরগুনার ঢলুয়া এলাকার বাসিন্দা কালু মিয়া বলেন, ‘ইঞ্জিন রুমের পাশেই ছিল ৭ ব্যারেল তেল। আগুনের উত্তাপে এর পর্যায়ে সেগুলো বিস্ফোরিত হলে মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে যায় পুরো লঞ্চে।এর ভয়াবহতা এতোটাই বেশি ছিল যে তৃতীয় তলার কেবিনে থাকা যাত্রীদের প্রায় কেউই আর বেরুতে পারেনি। মুহূর্তেই পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে সবাই।’
বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরেক যাত্রী বরগুনার খোলপটুয়া গ্রামের আসিফ সিকদার বলেন, ‘তীব্র শীতে ঠান্ডা বাতাসের হাত থেকে বাঁচতে একদিকে যেমন লঞ্চে ঢোকা বেরুনোর সবগুলো গেট আটকানো ছিল তেমনি চারপাশের মোটা পর্দাগুলো নামিয়ে রাখা হয় বেঁধে। চোখের পলকে ছড়িয়ে পড়া আগুনে সবার আগে পুড়তে শুরু করে পর্দাগুলো। তীব্র উত্তাপে স্টীল কাঠামোর আয়তন বেড়ে যাওয়ায় আটকে যায় গেট। ফলে লঞ্চের দু’দিক দিয়ে যেমন যাত্রীরা ঝাপ দিতে পারেনি নদীতে তেমনি গেট আটকে যাওয়ায় বেরুতেও পারেনি কেউ। বদ্ধ উনোনে পুড়ে মরেছ মানুষ।’
লঞ্চের বেঁচে যাওয়া যাত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা সদর ঘাট থেকে লঞ্চটি ছাড়ার পর থেকেই খানিকটা অদ্ভুত শব্দ হচ্ছিল লঞ্চের ইঞ্জিন থেকে।’ নিয়মিত লঞ্চ যাত্রী কামরুল’র ভাষ্যমতে, ‘শব্দটা ছিল অস্বাভাবিক। সাধারণতঃ এরকম শব্দ এর আগে আর কখনো শুনিনি অন্য কোন লঞ্চে। এভাবেই ঢাকা থেকে সুগন্ধা নদীর দপদপিয়া পর্যন্ত আসার পর আগুর জ্বলে উঠে ইঞ্জিন রুমে। চালকসহ লঞ্চের অন্যান্য কর্মকর্তারা এসময় যদি লঞ্চ না চালিয়ে তীরে ভিড়িয়ে দিতেন তাহলে হয়তো এতোবড় দুর্ঘটনা ঘটতোনা। কিন্তু তারা তা না করে আগুন নেভানোর চেষ্টার পাশাপাশি লঞ্চ চালাতো থাকেন। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন যাত্রীদেরকেও জানানো হয়নি কিছুই। এরপর যখন বিস্ফোরণ এবং মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে তখন আর কারও কিছু করার ছিল না।’
শেবাচিমের পরিস্থিতি
দুর্ঘটনার পর ঝালকাঠী থেকে ৭০ জনের মতো দগ্ধ নারী পুরুষকে চিকিৎসার জন্য দ্রুত নিয়ে আসা হয় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে। এসব আহতদের প্রায় সবারই পোড়া চিহ্ন দেখা গেছে হাত এবং পায়ে।
এদের একজন বরগুনার বেতাগীর বাসীন্দা হারুন মিস্ত্রি বলেন, ‘আগুন ছড়িয়ে পড়ার পরপরই মুহূর্তের মধ্যে তীব্র উত্তাপে উত্তপ্ত হয়ে উঠে লঞ্চের স্টিল কাঠামো। নিচে ডেকে যেমন রাখা যাচ্ছিল না পা তেমনি হাত দিয়েও ধরা যাচ্ছিল না কিছুই। ওই অবস্থায়ই জীবন বাঁচাতে হাত পা পুড়িয়ে নদীতে ঝাপ দিতে থাকে মানুষ। মূলতঃ যারা নদীতে ঝাপ দিতে পেরেছে তারাই বেঁচে গেছে। অন্যদের ভাগ্যে জুটেছে নির্মম মৃত্যু।’
লঞ্চের বেঁচে যাওয়া একাধিক যাত্রী জানান, ‘ঘটনাস্থলে পৌছানোর পর হঠাৎ যখন লঞ্চটিকে আগুন গ্রাস করে তখন এর চালক প্রথমে তীরের দিকে নিয়ে গেলেও পরে আবার মাঝ নদীতে নিয়ে আসে। কেন সে এটা করলো তা পরিস্কার নয়।’
আরও পড়ুন: লঞ্চের আগুনে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে দেড় লাখ টাকা দেয়ার ঘোষণা
যাত্রীর সংখ্যা নিয়ে ধোয়াশা
দুর্ঘটনার সময় অভিশপ্ত অভিযান ১০ লঞ্চে ঠিক কতজন যাত্রী ছিল তাই নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধোয়াশা। লঞ্চের মালিক পক্ষের দাবি অনুযায়ী সব মিলিয়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩শ’ যাত্রী ছিল লঞ্চে। বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের যুগ্ম পরিচালক এস এম আজগর আলী-রও দাবি যে ঢাকা থেকে ৩১০ জনের মতো যাত্রী নিয়ে বরগুনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে লঞ্চটি। এমনকি দুর্ঘটনার পর গতকাল শুক্রবার দুপুরে আহত যাত্রীদের দেখতে বরিশালে আসা নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীও বলেছেন যে রাতের বেলা সাড়ে ৪শ’র মতো যাত্রী ধারনের অনুমতি থাকা লঞ্চটিতে ৩ সাড়ে ৩শ’র বেশি যাত্রী ছিল না।
তবে দুর্ঘটনার কবল থেবে বেঁচে ফিরে আসা যাত্রীরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের মতে দেড় হাজারের বেশি যাত্রী ছিল লঞ্চে।
শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যাত্রী বরগুনার রাশেদ বলেন, ‘নিচতলার ডেকে যাত্রীদের ভীড়ের কারণে বসার মতো জায়গা ছিল না। পরে ইঞ্জিনের পাশে কোনভাবে একটু জায়গা করে ফিরছিলাম বরগুনায়।’
দগ্ধ হয়ে আহত আরেক যাত্রী কালু মিয়াও বলেন একই কথা।
দুর্ঘটনার পর বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা প্রায় ৭০ জন নারী-পুরুষের পাশাপাশি লাশ উদ্ধার হওয়া ৩৯ (শুক্রবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত) জনের খবর জানা গেলেও লঞ্চে থাকা বাকি যাত্রীদের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা এখনো পরিস্কার নয়।
পড়ুন: ‘এমভি অভিযান-১০’ লঞ্চে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি নেই, দাবি মালিকের
২ বছর আগে
‘এমভি অভিযান-১০’ লঞ্চে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি নেই, দাবি মালিকের
ঢাকা থেকে বরগুনাগামী ঝালকাঠিতে এমভি অভিযান -১০ লঞ্চে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে বলে জানিয়েছেন আগুনে পুড়ে যাওয়া নৌযানের মালিক হাম জালাল শেখ।
শুক্রবার দুপুরে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইউএনবি বলেন, লঞ্চের এক সুপারভাইজার আনোয়ার ভোর রাত আনুমানিক ৩টার দিকে ফোন করে প্রথম অগ্নিকাণ্ডের খবর দেয়।
কর্মচারী আনোয়ারের খবরের বরাতে মালিক হাম জালাল বলেন, প্রথমে দোতলায় একটা বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়, সঙ্গে সঙ্গে কেবিনে আর লঞ্চের পেছনের বিভিন্ন অংশে আগুন লাগে। তারপর তৃতীয় তলার কেবিন ও নিচতলায় ছড়িয়ে পড়ে আগুন। তবে কিভাবে আগুন লাগে এটা জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: লঞ্চের আগুনে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে দেড় লাখ টাকা দেয়ার ঘোষণা
যান্ত্রিক ত্রুটি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে হাম জালাল বলেন, ওই লঞ্চে অন্তত ২১টি অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ছিল, কিন্তু এত দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে যে সময় পাওয়া পায়নি।
লঞ্চে কোনো যান্ত্রিক ক্রুটি ছিল না দাবি করে তিনি বলেন, ইঞ্জিনে আগুন লাগলে কখনো পুরো জাহাজে আগুন ছড়িয়ে পড়ে না। বিকট শব্দে দোতলা থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ইঞ্জিন ও কেবিনের দিকে।
হাম জালাল এমভি অভিযান-১০, ৩ ও ৫ লঞ্চের মালিক।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার কোনো লঞ্চের ইন্সুরেন্স নেই। আমার কেন কারও কোনো লঞ্চে ইন্সুরেন্স নেই।
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ পৃথক দুটি কমিটি গঠন করেছে। তিন দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ৭ সদস্যের কমিটি গঠন
শুক্রবার গভীর রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার উপকূলে সুগন্ধা নদীর মাঝখানে ৮০০ যাত্রী নিয়ে ‘অভিযান-১০’ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৩৯ জন নিহত ও ৭২ জন আহত হয়েছেন।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ফজলুল হক ইউএনবিকে বলেন, আমাদেরকে রাত ৩টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা জানানো হয়। তবে ঘন কুয়াশার কারণে প্রথম দিকে ফায়ার সার্ভিসের জাহাজগুলো ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে কিছুটা সময় নেয়।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মইনুল হক ইউএনবিকে বলেন, ‘লঞ্চ থেকে ৩৭টি লাশ এবং ৭২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
৩৭টি লাশের মধ্যে চারটি শনাক্ত করা হয়েছে এবং বাকি ৩৩টি লাশ ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এএসপি।
আহত ৭২ জনের মধ্যে গুরুতর দগ্ধ ৬৬ জনকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে লঞ্চে আগুন: নিহত ৩৯, আহত অর্ধশতাধিক
শেবাচিমের সহকারী পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে যাওয়া ৬৬ জনের মধ্যে ১৮ জন নারী। আমাদের কাছে কোনো ডেডিকেটেড বার্ন ইউনিট না থাকায় তিনজন নারী ও চারজন পুরুষকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
তবে ইউএনবি বরিশাল প্রতিনিধি জানান, আহতদের মধ্যে দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা গেছেন।
এরই মধ্যে দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চটিকে তীরে আনা হয়েছে।
২ বছর আগে