এ ঘটনায় হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ করেও একমাসে কোন প্রতিকার না পেয়ে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে প্রাধানমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনের কাছে বিচারের দাবি করেন অসহায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধার ছেলে মিজানুর রহমান।
আরও পড়ুন:লালমনিরহাটে হারিয়ে যাওয়ার ২৭ দিন পর ম্যাগজিনসহ গুলি উদ্ধার
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নের চর ঠাংঝাড়া গ্রামে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নায়েক মজিবর রহমান (ইপিআর) এর ছেলে মো. মিজানুর রহমান ও তার মৃত ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল ও মোশারফের মাত্র ৩০ শতক জমির বসতবাড়ির বিভিন্ন প্রকারের গাছপালা কেটে ফেলে এবং চলাচলের একটু জায়গা দিয়ে তিন বাড়ির চার দিকে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে অবরুদ্ধ করে রাখেন প্রতি পক্ষ শহিদুল ইসলামের লোকজন। অসহায় ভূমিহীন পরিবারটি চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
আরও পড়ুন:ভারতে প্রবেশকালে লালমনিরহাট সীমান্তে আটক ১২
ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান বলেন, আমিসহ আমার তিন ভাইয়ের নামে রেকর্ডকৃত বসতবাড়ির ৩০ শত জমিতে ১৯৬৬ সাল থেকে বসবাস করে আসছি আমরা। প্রতিপক্ষ শহিদুল ইসলামের লোকজন জমিতে থাকা গাছপালা কেটে ফেলে বাড়ির চার পাশে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখে আমাদের তিন পরিবারকে গৃহবন্দি করে রখেছেন। তারা আমাদেরকে হুমকি দিয়েছে। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এলাকার এমপি মোতাহার হোসেনের কাছে বিচার চাই যাতে এই বসতভিটায় বসবাস করতে পারি। জায়গা জমি বলতে বসতভিটে ছাড়া কিছুই নেই আমার।
মিজানুর রহমানের স্ত্রী শিরিনা বেগম বলেন, ‘গত দুই বছর ধরে আমাদের ১৩টি গাছ কেটে নিয়ে গেছে, পুকুরের মাছ ধরে নিয়ে গেছে আমরা কিছুই বলিনি। এখন তাদের অত্যাচারে কীভাবে আমরা টিকে থাকি। আমরা আতঙ্কে আছি। তাদের ভয়ে আমরা কিছুই বলতে পারছি না।’
আরও পড়ুন:লালমনিরহাটের দুই পৌরসভায় ভোটগ্রহণে ভিন্ন আমেজ
অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাবা মৃত আব্দুল কাদের নামে ৬২ সালের রেকর্ড অনুযায়ী আমরা এই জমির মালিক। বিষয়টি নিয়ে আমরাও থানায় অভিযোগ করেছি। দুই পক্ষের মধ্যে একটি বৈঠক হলে সমাধান হবে।’
গাছ কাটা ও বাঁশ দিয়ে বাড়ি ঘিরে রাখার কথাও তিনি স্বীকার করেন।
হাতীবান্ধা থানার তদন্তকারী উপপরিদর্শক (এসআই) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষকে থানায় ডাকলে এক পক্ষ আসেনি। তাই মামলাটি জমি সংক্রন্ত হওয়ায় আদালতে পাঠানো হবে।’
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান এক এসআই। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত করায় তাদের বিরুদ্ধে আইনহত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’