আরও পড়ুন:লেখক মুশতাকের মৃত্যু: গাজীপুর জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি গঠন
বাংলাদেশ ছাত্রফ্রন্টের নেতা-কর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে শাহবাগ পর্যন্ত একটি র্যালি করে এবং মোড়ে অবস্থান নেয়। পরে তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে টিএসসিতে স্লোগান দেয়।
আরও পড়ুন:কারাগারে লেখক মুশতাকের মৃত্যুতে শাহবাগে বিক্ষোভ
বাংলাদেশ ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি আল কাদেরী জয় প্রতিবাদ চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
এর আগে ছাত্র ফেডারেশনের সদস্যরা মুশতাকের মৃত্যুর দ্রুত তদন্তের দাবিতে টিএসসি থেকে শাহবাগ পর্যন্ত র্যালি করেন।
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, সরকার সবার কণ্ঠকে নীরব করার চেষ্টা করছে।
এদিকে, মুশতাকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সদস্যরা একটি অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে। তারাও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন:লেখক মুশতাকের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর
এর আগে পুলিশ হেফাজতে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুতে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ চলাকালীন সময়ে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ২০ জন বিক্ষোভকারী এবং ১৫ জন পুলিশ সদস্য ছিলেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিক্ষোভকারীরা মশাল মিছিল বের করলে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন:ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার লেখক মুশতাকের কারাগারে মৃত্যু
পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনক আটক করেলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে পুলিশ সেখানে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে, যা বিক্ষোভকারীদের ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে অবস্থান নিতে বাধ্য করে।
শাহবাগ থানা সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থল থেকে চারজন প্রতিবাদকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (রমনা জোন) উপ কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান বলেছেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ অত্যন্ত ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিক্ষোভকারীরা শাহবাগের দিকে এগোচ্ছিল এবং আমরা তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা হামলা চালায় এবং আমাদের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এই ঘটনায় আমিসহ প্রায় ১৪ জন পুলিশ আহত হয়েছে।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গত বছর লেখক মুশতাককে গ্রেপ্তার করা হয় এবং কাশিমপুর কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান।
তার মৃত্যুর পর দেশে বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। কেননা তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় কারাগারে বন্দী ছিলেন।
আরও পড়ুন:বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আন্দোলন অব্যাহত