সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানে ‘ইইউ অ্যান্ড দ্য কনটেম্পরারি গ্লোবাল সিনারিও: এ রিফ্লেকশন ফর দ্য ফিউচার’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ২০০৭ থেকে ২০১২ মেয়াদে স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ড. দানিলো তুর্ক।
বাংলাদেশি ব্যবসায়ী গোষ্ঠী কসমস গ্রুপের জনহিতকর প্রতিষ্ঠান কসমস ফাউন্ডেশন রাজধানীর সিক্স সিজনস হোটেলে এ আলোচনার আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের (আইএসএএস) প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেবেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান।
স্লোভেনিয়ান কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক আইনের অধ্যাপক, মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ড. দানিলো তুর্কের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের পর অনুষ্ঠানে থাকবে আলোচনা পর্ব।
তুর্ক ১৯৯২ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘে স্লোভেনিয়ার প্রথম রাষ্ট্রদূত ছিলেন। সেই সাথে তিনি ২০০০ থেকে ২০০৫ মেয়াদে জাতিসংঘের রাজনীতিবিষয়ক সহকারী মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এসব দায়িত্ব ছাড়াও তুর্ক নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক আইনের ভিজিটিং প্রফেসর, লিউব্লিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের প্রফেসর ইমেরিটাস ও চীনের বেইজিংয়ের রেনমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের চঙইয়ঙ ইনস্টিটিউট ফর ফিনান্সিয়াল স্টাডিজের নন-রেসিডেন্ট সিনিয়র ফেলো।
তিনি দানিলো তুর্ক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা। এটি মূলত সশস্ত্র সংঘাতের শিকার শিশুদের পুনর্বাসন নিয়ে কাজ করে। সেই সাথে তিনি গ্লোবাল হাই লেভেল প্যানেল অন ওয়াটার অ্যান্ড পিসের চেয়ারম্যান এবং উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন নিয়ে কাজ করা ওয়াশিংটন ভিত্তিক এনজিও গ্লোবাল ফেয়ারনেস ইনিশিয়েটিভের বোর্ড চেয়ারম্যান।
তুর্ক ২০১৬ সালে জাতিসংঘ মহাসচিব পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ব্যর্থ হন। তিনি শান্তি ও গণতন্ত্রের জন্য কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বিশ্বনেতাদের জোট ক্লাব ডি মাদ্রিদেরও সদস্য। এতে বিল ক্লিনটন, মিখাইল গর্বাচভ, হেলেন ক্লার্ক ও রোমানো প্রোদির মতো নেতারা যুক্ত আছেন।