সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ওপর ‘পুলিশি হামলা’র প্রতিবাদ এবং শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষকরা।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় তারা সরকারকে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান।
কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলা নতুন না। এর আগে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পুলিশের হামলার শিকার হয়েছে। ২০১৪ সালের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা হয়েছিল। ২০০৩ সালে রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা হয়েছিল। এখনও হামলার ঘটনা ঘটছে। কেন শাবিপ্রবিতে এ ঘটনা ঘটলা? কারণ তারা শুধু স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বলেছে।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা থেকে সিলেট অভিমুখে লংমার্চ
একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার বলেন, গত ১০ থেকে ২০ বছর ধরে আমি ছাত্র আন্দোলন দেখছি। শাবিপ্রবিতে তারা প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতা করতে চেয়েছিল। ১৪০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থীরা অনশনে আছে। তারপরও সেদিকে নজর নেই সরকারের। আমরা শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সমর্থনে আন্দোলন শুরু করেছি এবং আমাদের কর্মসূচি চলবে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৌভিক রেজা ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মো. আলী রেজা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আবদুল মজিদ অন্তর, রাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি শাকিলা খাতুন, রাবি ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলনসহ অন্যান্য বাম ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন।
এর আগে, শাবিপ্রবি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে রবিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘নীরব বিক্ষোভ’ করেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ খান।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অর্থ সংগ্রহের ৬ অ্যাকাউন্ট বন্ধ