তিনি বলেন, ‘বেতন ও অন্যান্য ফি পরিশোধে ব্যর্থতার কারণে কোনো ছাত্রছাত্রীকে পরীক্ষা হতে বিরত রাখা যাবে না, প্রমোশন আটকানো যাবে না ‘
সোমবার মিরপুরের রূপনগরে অবস্থিত মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষক ও অভিভাবকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব নির্দেশনা দেন।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার প্রভাবে আর্থিক সংকটের কারণে যেসব অভিভাবক ছাত্রছাত্রীদের বেতন ও ফিস পরিশোধ অক্ষম তারা ব্যক্তিগতভাবে কলেজ কর্তৃপক্ষ বরাবর দরখাস্ত করলে সেটি বিবেচনা করা হবে। অভিভাবকদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় প্রয়োজনে শতভাগ পর্যন্ত বেতন মওকুফ করা হবে।’
তবে, যেসব অভিভাবক আর্থিকভাবে স্বচ্ছল তাদের দরখাস্ত করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যেসব শিক্ষর্থীর বাসায় তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ নেই, তাদের জন্য পর্যায়ক্রমে ল্যাপটপ প্রদানের বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।’
তিনি ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের মাঝে সমন্বয় ও পারস্পরিক যোগাযোগ রেখে করোনাকালে স্কুল ও কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন হয় এমন আচরণ ও কাজ থেকে বিরত থাকা এবং কারও প্ররোচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সম্পদ বিনষ্ট ও অস্থিরতা সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের যেসব শিক্ষক প্রাইভেট পড়ান বা ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের সাথে যথাযথ আচরণ করবেন না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়া, তিনি দুর্বল শিক্ষর্থীদের জন্য বিনা ফিতে বাড়তি ক্লাস নেয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফরহাদ হোসেন, গভর্নিং বডির সদস্য ও অভিভাবকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।