দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার বাসিন্দারা মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে স্বাচ্ছন্দ্যে পারাপার হলেও বাস ও স্পিডবোটে বেশি ভাড়া আদায় এবং লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
যাত্রীরা জানান, ঢাকা থেকে শিমুলিয়া পর্যন্ত বাসে ৭০ টাকার স্থলে ১৫০ টাকা এবং স্পিডবোটে শিমুলিয়া থেকে কাঁঠালবাড়ি যেতে ১৮০ টাকার জায়গায় ২০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
এ নৌরুটে রবিবার সকাল থেকে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে বলে জানিয়েছেন বিআইডাব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘শিমুলিয়া ঘাটে শতাধিক গাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাই বেশি। তবে সকাল থেকে আবহাওয়া ফেরি চলাচলের উপযোগী রয়েছে। এ রকম পরিস্থিতি থাকলে ফেরি চলাচলে কোনো সমস্যা থাকবে না ও গাড়ির চাপ কমে আসবে।’
আবহাওয়া অনুকূলে এবং সব ফেরি সচল থাকায় গাড়ি দ্রুত পার করা যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
বিআইডব্লিউটিএ’র শিমুলিয়া ঘাট পরিদর্শক মো. সোলেমান জানান, সকাল থেকে লঞ্চঘাট ও সিবোট ঘাটে যাত্রীদের কিছুটা চাপ দেখা গেছে। শিমুলিয়া থেকে ৮৮টি লঞ্চ ও প্রায় ৩৫০টি সিবোট দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।
ঈদ উপলক্ষে রাত ১০টা পর্যন্ত শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে লঞ্চ চলাচল করে বলে জানান তিনি।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন জানান, ঈদে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৫ শতাধিক সদস্য তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নিয়োজিত রয়েছে।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।