শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। জন্মদিন উপলক্ষে তার প্রতি গভীর ভালোবাসা ও পরম মমতায় স্মরণ করে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন তারা।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মতো রাসেলও ছিলেন সহজ-সরল ও অত্যন্ত বিনয়ী। অন্য শিশুদের সঙ্গে নিজের জামা-কাপড় ও খেলনা ভাগাভাগি করা ও মানুষের উপকার করার চেষ্টা ছোটবেলা থেকেই শেখ রাসেলের মাঝে দেখা গেছে। তিনি ছিলেন আদর্শ পিতার যোগ্য সন্তান।
আরও পড়ুন: ১৮ অক্টোবর পালিত হবে ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২২’
রাষ্ট্রপতি বলেন, শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে হয়তো আজ জাতির নেতৃত্ব দিতেন। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করতেন। কিন্তু বাঙালি জাতির দুর্ভাগ্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নির্মমভাবে শহীদ হন। ঘাতকরা ১০ বছরের ছোট্ট রাসেলকেও সেদিন রেহাই দেয়নি। ছোট্ট রাসেল সেদিন ঘাতকদের মিনতি করে বলেছিলেন, ‘আমি মায়ের কাছে যাব’ কিন্তু সেই ঘাতকদল তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: লিসবনে শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত
মো. আবদুল হামিদ বলেন, মৃত্যুকালে রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল। ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি। রাসেল আজ বিশ্বে অধিকার বঞ্চিত শিশুদের প্রতীক ও মানবিকসত্তা হিসেবে বেঁচে আছে সবার মাঝে।
আরও পড়ুন: নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসছে বিনা উদ্ভাবিত ‘শেখ রাসেল’ ধান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, শিশু রাসেলের জীবন সম্পর্কে শিশু-কিশোরদের কাছে তুলে ধরতে প্রতি বছর তার জন্মদিনকে ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রথমবারের মতো পালিত ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২২’