প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এবং অন্যান্য মন্ত্রীরা সচিবালয় থেকে এ বৈঠকে যুক্ত হন।
বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসা শিক্ষায় উচ্চশিক্ষিত বিশেষজ্ঞ-গবেষক তৈরি করার লক্ষ্যে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণা এবং স্নাতক পর্যায়ে চিকিৎসা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মেডিকেল কলেজগুলোর শিক্ষার মান সংরক্ষণ ও উন্নয়নে খুলনা বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।
রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রণীত আইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে একই রকম আইন করা হয়েছে, বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
রাষ্ট্রপতি প্রস্তাবিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসেবে থাকবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, খুলনা অঞ্চলের সব মেডিকেল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট বা অন্যান্য চিকিৎসা সংক্রান্ত যেসব ইনস্টিটিউট থাকবে সবই এ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলে আসবে।
এ আইনের মাধ্যমে চিকিৎসা শাস্ত্রে গবেষণা, উচ্চশিক্ষা, সেবার মান এবং সুযোগ-সুবিধার সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
প্রতিটি বিভাগে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সরকারের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ দিন ‘চিকিৎসা ডিগ্রি (দ্য মেডিকেল ডিগ্রিস) (রহিতকরণ) আইন, ২০২০’ এর খসড়ারও নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ১৯১৬ সালের আইনের যতো প্রভিশন ও মোডিফিকেশন প্রয়োজন ছিল সবই ২০১০-এর আইনে নিয়ে আসা হয়েছে। ফলে ‘দ্য মেডিকেল ডিগ্রিস অ্যাক্ট, ১৯১৬’ এর কোনো কার্যকারিতা নেই। সেজন্য মন্ত্রিসভা এটা (চিকিৎসা শিক্ষা বিভাগ) রহিত করার প্রস্তাব নিয়ে এসেছে।
সেইসাথে, পর্যটন খাতকে সমৃদ্ধ করে কর্মসংস্থান ও আয় বাড়ানোর জন্য বিদ্যমান আইনকে সময়োপযোগী হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন আইন, ২০২০ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বেকারত্ব কমানো, কর্মসংস্থান তৈরি, উপার্জন বাড়ানো ও পর্যটন খাত সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন অধ্যাদেশ ১৯৭২ এ সংশোধনী আনা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
একইসাথে, ক্যারাবিয়ান অঞ্চলের সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস ও কনওয়েলথ অব ডমিনিকার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন সংক্রান্ত যৌথ ঘোষণাপত্রের খসড়া অনুসমর্থনের প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
আটলান্টিক মহাসাগর ও ক্যারিবিয়ান সাগরের মধ্যে অবস্থিত দ্বৈত দ্বীপ রাষ্ট্র সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের আয়তন ২৬১ বর্গ কিলোমিটার এবং পার্বত্য ক্যারিবিয়ান দ্বীপ দেশ ডোমিনিকার আয়তন ৭৫০ বর্গ কিলোমিটার।