মেয়র বলেন, ‘আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখেছি যে ষাটোর্ধ্ব যারা আছেন, তারা করোনাভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হন।’
সোমবার দুপুরে নগর ভবনে অনুষ্ঠিত পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে বর্জ্য অপসারণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা শীর্ষক সমন্বয় সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য ঈদুল আযহা একটি বড় উৎসব। কিন্তু এবারের ঈদুল আযহা যেহেতু করোনাভাইরাস মহামারিকালীন, তাই উৎসব উদযাপনের পাশাপাশি যাতে করে করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি না ঘটে, সেজন্য আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে, আন্তরিকভাবে নাগরিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।
সঠিকভাবে পশুর হাট পরিচালনার জন্য সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করে তাপস বলেন, করোনা মহামারিকে কোনভাবেই হালকা করে নেয়ার সুযোগ নাই। তাই, যারা কোরবানির পশুর হাটে যাবেন তারা যেন মাস্ক, হ্যান্ড-গ্লাভস পরে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পশুর হাটে যান সেই অনুরোধ করছি।
পাশাপাশি, বিদ্যমান স্বাস্থ্যবিধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে করোনাকালীন এ কোরবানির পশুর হাট পরিচালনার জন্য ডিএসসিসিও আলাদা করে স্বাস্থ্যবিধি তৈরি করছে বলেও জানান মেয়র তাপস।
এছাড়া কোরবানির পশুর হাটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্টও পরিচালনা করা হবে বলে জানান।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ মো. এমদাদুল হক, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মো. বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (ডা.) শরীফ আহমেদ, সচিব আকরামুজ্জামানসহ দপ্তর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।