সকালে পুত্রসন্তান জন্ম দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সকলের দোয়া চেয়ে পোস্ট দিয়েছিলেন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার গৃহবধূ নাজমিন আক্তার। দিন পেরিয়ে রাতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয় ফেসবুকে।
হজপালনে সৌদি আরবে অবস্থানরত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাঙ্গুনিয়ার সংসদ সদস্য ড. হাছান মাহমুদের চোখে পড়ে নিজ নির্বাচনি এলাকার এই ঘটনা।
সন্তানের জন্ম দিয়ে মায়ের এমন মৃত্যুর খবর জেনে নিজ ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এমরুল করিম রাশেদকে নবজাতকটির দেখভাল করার নির্দেশনা দেন তিনি।
বুধবার বিকালে ওই প্রয়াত গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ি চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাট এলাকায় যান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এমরুল করিম রাশেদ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নবজাতক শিশুটির পরিবারের হাতে উপহার তুলে দেওয়া হয়।
নবজাতকের খোঁজ নেওয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান স্ত্রীর এমন মৃত্যুতে শোকাহত প্রবাসী স্বামী মো. রিমন ও স্বজনরা।
উল্লেখ্য, গেল ১১ জুন সকালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দেন নাজমিন আক্তার। সে রাতেই বিভিন্ন জটিলতায় মৃত্যু হয় তার। পরদিন সন্ধ্যায় স্ত্রীর মৃত্যু সংবাদে পেয়ে তার স্বামী রিমন দেশে ফিরে স্ত্রীর দাফনসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।
রিমন বলেন, ‘ছেলে হলে আমার স্ত্রী নাম রাখতে চেয়েছিলেন রিহান। তাই মায়ের ইচ্ছে অনুযায়ী ছেলের নাম রিহান। বর্তমানে আমার বোন নিজের দুই সন্তানের মতো করে আমার ছেলেকেও দেখছেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তার সঙ্গে এসময় আরও ছিলেন- রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান শেখর বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবু তাহের, চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হারুন সওদাগর, আওয়ামী লীগ নেতা মো. ফোরকান, আলী আজগর, ইকবাল হোসেন বাবলু।