রাজধানী পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায়কে দেখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুর মতো চ্যালেঞ্জে বিজয়ী হয়েছি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সড়ক পরিবহনে শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে আমরা অনেক দুর্বলতা লক্ষ্য করছি। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য একটি সুপারিশমালা দেয়া হয়েছে। এটা বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে যদি সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসে তাহলে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না।
কৃষ্ণা রায়ের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, যদি রোগীর দিক থেকে বলি তাহলে ভালো না। চিকিৎসকের দিক থেকে বললে তাহলে বলবো তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করছে রোগীকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেয়ার। বাংলাদেশে এর চেয়েও জটিল রোগের চিকিৎসা হয়ে থাকে। আশা করি তাকে সুস্থ জায়গায় নিয়ে আসবেন তারা।
বিচারের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন। যে কেউ আদালতের দারস্থ হতে পারেন। তারা যদি বিচারের প্রার্থনা করেন তাহলে নিশ্চয় বিচার পাবেন।
‘যেখানে পথচারী থাকার কথা সেখানে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তা অবশ্যই আতংকের বিষয়। সেখানে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি রয়েছে কিনা, গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট রয়েছে কিনা কিংবা চালক সুস্থ ছিল কিনা সেটা তদন্তের বিষয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবশ্যই বিষয়টি তদন্ত করে অপরাধীকে আইনের আওতায় আনবেন,’ যোগ করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষ্ণা রায় আমাদের বিআইডব্লিউটিসির হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমরা তার চিকিৎসার জন্য, তদারকির জন্য, চিকিৎসার জন্য যা যা প্রয়োজন তা করবো।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে বাংলামটরে ট্রাস্ট পরিবহনের একটি মিনিবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফুটপাতে উঠে যায়। এ সময় বাসটি ফুটপাতে দাঁড়িয়ে থাকা কৃষ্ণা রায়কে চাপা দেয়। এতে তার বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়। কৃষ্ণা রায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) সহকারী ব্যবস্থাপক। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে। রাজধানীর পুরান ঢাকায় তার বাসা। স্বামী ও দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে সেখানেই থাকেন। অফিস থেকে বের হয়ে বাসায় ফেরার পথে তিনি এই দুর্ঘটনার শিকার হন।