বুধবার সকালে সাধারণ আইনজীবী পরিষদের ব্যানারে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও সাধারণ আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদীর নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন আইনজীবী এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
মানবন্ধনে মমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী বলেন, ৯৫ শতাংশ আইনজীবী ভার্চুয়াল আদালতের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অন্যদিকে বিচারপ্রার্থীরাও বিচার পাচ্ছে না। ভার্চুয়াল কোর্ট বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের কোনো উপকারে আসছে না। তাই আগামী ১ জুলাই থেকে সুপ্রিমকোর্টসহ দেশের সব আদালত নিয়মিতভাবে চালুর জন্য প্রধান বিারপতির কাছে দাবি জানাচ্ছি।
এর আগে গত ২১ জুন নিয়মিত আদালত খুলে দিতে মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী লিখিতভাবে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদনও করেন।
ওই আবেদনে বলা হয়, গত ১৩ মার্চ থেকে সুপ্রিম কোর্ট এবং ২৬ মার্চ থেকে দেশের সকল আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। গত তিনমাস নিয়মিত কোর্ট করতে না পারায় অধিকাংশ আইনজীবী চরম অর্থ সংকটে পড়েছে এবং বিচারপ্রার্থী জনগনের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। ইতোমধ্যে সরকার ভার্চুয়াল বিচার ব্যবস্থা চালু করেছে। বাংলাদেশের শতকরা ৯৫ ভাগ আইনজীবীর প্রশিক্ষণ না থাকায় ও ইন্টারনেট সুবিধার অভাবে ভার্চুয়াল কোর্টে মামলা করতে পারছেন না।
আবেদনে আরও বলা হয়, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারনে নিয়মিত কোর্ট না থাকায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি যাদের আপিল দায়রা জজ আদালতে এবং হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন আছে, তারা আইনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত। হাজার হাজার আসামি পলাতক আছে, তারা আইনের আশ্রয় লাভের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে ফেরারী জীবন-যাপন করছেন।
এছাড়া হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন ব্যতিত অন্য কোন আইনে নতুন কোনো মামলা দাখিল করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় আইনজীবীদের মধ্যে মারাত্মক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। জীবন তো আর থেমে থাকতে পারেনা। জীবিকা ছাড়া জীবন অচল। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের সকল আদালত খুলে দিতে অনুরোধ জানাই।