সরকার প্রধান বলেন, ‘আমরা ঠিক সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছি… আমরা কত টাকা আছে বা কী আছে তা নিয়ে ভাবিনি, শুধু আমাদের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়ার কথা চিন্তা করেছি।’
রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে সাপ্তাহিক একনেক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সভায় তিনি নিজের সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের অর্থনীতির চাকা চলমান রাখতে মহামারির সময়ে কৃষি, এসএমই, ভারী শিল্প ও তৈরি পোশাক এবং বিভিন্ন শিল্প খাতের মতো দরিদ্র, দিনমজুর ও গরিব মানুষদের জন্য বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যদি অর্থনীতির চাকার চলমান রাখতে চাই, তবে এ খাত এবং গোষ্ঠীগুলোকে টাকা সরবরাহ করতে হবে... আমাদের মানুষের হাতে টাকা তুলে দিতে হবে।’
এখন পর্যন্ত সরকার ১৩.২৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। যা দেশের মোট জিডিপির ৪.০৩ শতাংশের সমান। বিভিন্ন গোষ্ঠীর ও খাতকে দেয়া নগদ টাকা সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনীতিকে ভালোভাব ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করেছে।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, জনগণকে যাতে কোনোভাবেই খাদ্য ঘাটতিতে পড়তে না হয় সে জন্য সরকার খাদ্য পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে কৃষিক্ষেত্রের উন্নয়ন অব্যাহত রাখাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। ‘এবং আমরা উৎপাদন ধরে রাখতে পেরেছি।’
প্রণোদনা প্যাকেজ সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিয়েছে এবং যেগুলো পাওয়ার পর থেকে তারা তাদের নিজের কার্যক্রমে শুরু করতে পেরেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রণোদনা প্যাকেজ দেয়ার ক্ষেত্রে আমরা কোনো খাতকে পেছনে রাখিনি...আমরা সব ধরনের ব্যবসায়ীকে তা দিতে পেরেছি, আমরা তাদের সময়মতো নগদ টাকা ও প্রণোদনা দিয়েছি। যা তাদের ব্যবসা চালিয়ে নিতে সহায়ক হয়েছে।’
পুনরায় ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু হওয়ায় দিনমজুরেরাও তাদের কাজ ফিরে পেতে শুরু করেছেন, উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, সরকার কৃষিক্ষেত্রের জন্য সরাসরি প্রণোদনা দিয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে এসএমই, ভারী শিল্প, তৈরি পোশাক এবং অন্যান্য শিল্পকে দিয়েছে।
ফলে দেশের অর্থনীতি আবার গতি ফিরে পেয়েছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।