তিনি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা জোর করে কোনো রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাচ্ছি না। যারা যেতে ইচ্ছুক তাদের নিয়ে যাচ্ছি। তারা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যাচ্ছেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পুনরায় উল্লেখ করেন যে তারা কাউকে জোর করে ভাসানচরে নেবেন না। ‘আমরা এখনও আগের অবস্থানেই আছি।’
আরও পড়ুন: ভাসানচরে স্থানান্তর নিয়ে রোহিঙ্গাদের স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিশ্চিতের আহ্বান জাতিসংঘের
রোহিঙ্গাদের এ ধরনের স্থানান্তর নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগ বিষয়ে ড. মোমেন বলেন, (রাখাইনে প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের ব্যর্থতার জন্য) জাতিসংঘ তাদের আশঙ্কা ও উদ্বেগের কথা মিয়ানমারকে জানালে বাংলাদেশ সরকার খুশি হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার চায় না যে ভূমিধসের কারণে কক্সবাজার ক্যাম্পে মানুষ নিহত হোক।
কক্সবাজারের চাপ কমিয়ে রোহিঙ্গাদের ভাসানচর আরও উন্নত সুযোগ-সুবিধা দেবে বলে তিনি জানান।
মিয়ানমার সরকারের প্রতি রোহিঙ্গাদের আস্থার অভাবের কারণে ২০১৮ সালের নভেম্বরে এবং ২০১৯ সালের আগস্টে দুবার প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর প্রত্যাবাসন চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।
বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার ২০১৮ সালের ১৬ জানুায়ারি ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ সম্পর্কিত একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে, যা রোহিঙ্গাদের তাদের স্বদেশে ফিরিয়ে নিতে সহায়ক হবে বলে মনে করা হয়েছিল।
কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে।
এদিকে, ভাসানচরে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যেন প্রাসঙ্গিক, নির্ভুল এবং হালনাগাদ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তথ্যসমৃদ্ধ এবং স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে পারে তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে বুধবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, ‘ওই স্থানান্তরের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমে অথবা শরণার্থীদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘকে সম্পৃক্ত করা হয়নি। স্থানান্তরের সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জাতিসংঘের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য নেই।’
বিবৃতিতে জাতিসংঘ জানায়, বাংলাদেশ সরকারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কক্সবাজার থেকে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত ভাসানচরে প্রারম্ভিক স্থানান্তরের কাজ আগামী কিছু দিনের মধ্যে শুরু করার সম্ভাবনা বিষয়ক কিছু প্রতিবেদন সম্পর্কে তারা অবগত।
সরকার পর্যায়ক্রমে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
রোহিঙ্গাদের কার্যকর প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়ানোর জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে পুরো বিশ্ব সম্প্রদায়ের এক হওয়া উচিত: ইইউ