বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
গত ২৩ শে মার্চ, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকার প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে।
পরে দ্বিতীয় দফায় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত, তৃতীয় দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ও চতুর্থ দফায় ৫ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বর্ধিত করা হয়। এরপরও পরিস্থিতির উন্নত না হওয়ায় ১৬ মে পর্যন্ত ছুটি বৃদ্ধি করে সরকার।
আরও পড়ুন: সারাদেশে ৩০মে পর্যন্ত গণপরিবহন বন্ধ থাকবে
২৫ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জরুরি পরিষেবা প্রদানের সাথে জড়িত সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং তাদের অধীনস্থ অফিসগুলো বর্ধিত সাধারণ ছুটির দিনে সীমিত আকারে খোলা থাকবে।
করোনার সংক্রমণ রোধে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি রেল, সড়ক, নৌ ও বিমান যোগাযোগ বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকির মধ্যেই গত ২৬ এপ্রিল কিছু পোশাক কারখানা পুনরায় চালু করা হয় এবং কারখানার মালিকরা দাবি করেন যে তারা স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে শুধুমাত্র ঢাকায় উপস্থিত কর্মীদের মাধ্যমে কাজ করছেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে সর্বপ্রথম চীন থেকে সংক্রমণ শুরুর পর করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগ কোভিড-১৯ এ পর্যন্ত ছড়িয়েছে বিশ্বের ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে।
এদিকে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১০৪১ জনের করোনা শনাক্ত এবং আরও ১৪ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: সাধারণ ছুটিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৭ হাজার ৮৩৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ৭ হাজার ৩৯২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ ভাইরাসে নতুন করে ১০৪১ জন শনাক্ত হওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১৮ হাজার ৮৬৩ জনে দাঁড়িয়েছে। আরও ১৪ জনের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮৩ জনে।