সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ও পর্যটন খাতে অভিজ্ঞতা বিনিময়ে মেক্সিকোর ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে বাংলাদেশ। ডিসেম্বরে বাংলাদেশের আগামী বিজয় দিবস উদযাপনে ঢাকায় একটি সামরিক প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে তারা এ সাড়া প্রদান করবে বলে নিশ্চিত করেছে মেক্সিকান পক্ষ।
বাংলাদেশ ইতিমধ্যে ৩৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি সামরিক প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে এ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রতিনিধি দলটি মেক্সিকোর স্বাধীনতার ২০০ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।
মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো ভার্চুয়ালি ফরেন অফিস কনসালটেশন এর মাধ্যমে বাংলাদেশ-মেক্সিকোর মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বি পক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে উভয় পক্ষ দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।
বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আমেরিকা) তৌফিক ইসলাম শাতিল ও মেক্সিকান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন মেক্সিকান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (এশিয়া-প্যাসিফিক) রাষ্ট্রদূত ক্লডিয়া ফ্রাঙ্কো হিজুয়েলোস।
নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম এবং ভারতে নিযুক্ত মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূত ফেদেরিকো সালাস লোটফে সক্রিয়ভাবে আলোচনায় অংশ নেন।
বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর সম্পর্ক নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতা শাতিল নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের সফর ও দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
অদূর ভবিষ্যতে ঢাকায় মেক্সিকোর একটি আবাসিক মিশন খোলার অনুরোধ জানান বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। দুই দেশের আইন প্রণেতাদের মধ্যে একটি সংসদীয় বন্ধুপূর্ণ গ্রুপ গঠনের প্রস্তাব করেছে মেক্সিকান পক্ষ।
বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকার প্রদত্ত আকর্ষণীয় বিনিয়োগ সম্ভাবনা এবং সুবিধাগুলো তুলে ধরে বাংলাদেশ।
জবাবে বাংলাদেশের নির্মাণ ও অটোপার্টস শিল্প খাতে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে মেক্সিকো।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে মিয়ানমারকে শক্তিশালী বার্তা পাঠাবে ইন্দোনেশিয়া
যোগাযোগ প্রযুক্তি ও সমুদ্র অর্থনীতি নিয়ে বাংলাদেশের সাথে কাজে আগ্রহী মাদাগাস্কার