দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক অবস্থানে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশনসহ জনপ্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, তারা জাতির দুঃসময়ে, দুর্দিনে, বিপদে-আপদে সবার আগে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। এ দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আজকে সেই সম্প্রীতি নষ্ট করতে এবং দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার জন্য জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক থাকতে হবে।’
শুক্রবার রাজধানীর মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবনে সম্প্রতি কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে সৃষ্ট ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি কুমিল্লার পূজামণ্ডপে সৃষ্ট ঘটনাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ষড়যন্ত্রের একটি অংশ উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এই ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
পড়ুন: ১৯৭২ এর সংবিধানে ফিরতে শিগগিরই সংসদে বিল পেশ: মুরাদ
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধী শত্রুরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার জন্য বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্র করেছে এবং এখনও করে যাচ্ছে। তাদের আন্দোলনে মানুষের সাড়া পায় না বলেই দেশকে অস্থিতিশীল করতে ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগিয়ে ইন্ধনের চেষ্টা করছে।’
শুধু দেশে নয় দেশের বাহিরেও ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে ষড়যন্ত্রকারীদের কঠোরভাবে দমন করতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা হতদরিদ্র দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে উন্নত দেশের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি, তখন একটি স্বার্থান্বেষী মহল এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। যারা এসব ঘটাচ্ছে তারা দেশ ও জাতির শত্রু। তারা কখনোই দেশের উন্নয়ন চায় না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সকল ধর্মের মানুষের সহবস্থানে থাকার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করেছেন। মুসলিম প্রধান দেশ হলেও বঙ্গবন্ধু সব ধর্মের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করেছেন। মানুষ যে ধর্মের হোক না কেন, সে যেন রাষ্ট্রীয় অভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারে এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করে গেছেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা সেই নীতি বাস্তবায়ন করছেন।’