বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) শুক্রবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকায় যোগ্য ভোটারদের তালিকাভুক্ত করার কাজ শুরু করেছে।
চার ধাপে সম্ভাব্য ভোটার ও মৃত ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। প্রথম ধাপে ৬৪টি জেলার ১৩৯টি উপজেলায় ৯ জুন পর্যন্ত ঘরে ঘরে তথ্য সংগ্রহের কাজ করবেন গণনাকারীরা।
এসময় ২০০৫ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে জনসংগ্রহণ করা ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
২০২৩ সালের ২ মার্চ এই সর্বশেষ ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
আরও পড়ুন: ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট নেয়ার সক্ষমতা নেই: সিইসি
তথ্য সংগ্রহ অভিযান চলাকালীন, বিদ্যমান ভোটাররা তাদের ঠিকানা আপডেট করার জন্য আবেদন করতে পারেন।
শুক্রবার সকালে সাভার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে তথ্য সংগ্রহ অভিযানের সূচনা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
এছাড়া মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, খুলনা ও শরীয়তপুর-এ চারটি জেলায় এ কর্মসূচির মোড়ক উন্মোচন করেন চার নির্বাচন কমিশনার।
নির্বাচন কমিশন এবার সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ ভোটার বৃদ্ধির অনুমান করেছে।
আরও পড়ুন: ইসির আলোচনায় বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই: ফখরুল
যদি কেউ ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করতে চান, তাহলে ব্যক্তির একটি ১৭ সংখ্যার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন শংসাপত্র, একাডেমিক সার্টিফিকেট (যদি প্রযোজ্য হয়) এবং বাবা বা মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ইউটিলিটি বিলের ফটোকপি থাকতে হবে।
এবার ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার জন্য মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রায় ৫৬ হাজার গণনাকারী এবং ১১ হাজার ৩০০ সুপারভাইজার নিয়োগ করা হয়েছে।
রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যাতে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হতে পারে সেজন্য চট্টগ্রামের ৩২টি এলাকায় বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে ইসি।
আরও পড়ুন: ইভিএম এখনও বুঝে উঠিনি: সিইসি