অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেছেন, শেখ হাসিনার যদি সাহস থাকে তাহলে বাংলাদেশে ফিরে এসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখি হবেন।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা এরকম কথাই বলতেন। সাহস থাকলে বাংলাদেশে ফিরে আসুন এবং আদালতে বিচারের মুখোমুখি হোন। আশা করি উনি এটা বিশ্বাস করেন এবং এটা উনার জন্য ভালো হবে। এছাড়া উনার বক্তব্য উনি যে ফিলোসোফিতে বিশ্বাস করেন, প্রত্যেক আসামির উচিত আদালতের সামনে এসে বিচারের মুখোমুখি হোন। উনি হয়তো সেটাই করবেন।’
রবিবার (২০ অক্টোবর) বার সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহাল করে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের রিভিউ নিষ্পত্তির পর এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট
তিনি বলেন, ‘প্রথম কথা হলো এটা অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের বিষয় নয়। আইনের ব্যাখ্যার কথা যদি বলেন, আমি যতটুকু বুঝি একটা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়েছেন একটি কমপিটেন্ট ট্রাইব্যুনাল।’
তিনি আরও বলেন, সেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল করতে দেখতে হবে, যে শেখ হাসিনা কোথায় আছেন, সেটা যদি প্রসিকিউশন টিম জানে, বন্দি প্রত্যার্পণ চুক্তির আওতায় সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সেটা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করা যেতে পারে, এটা একটা অপশন।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিষয় হলো, ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। শেখ হাসিনা যে দেশে আছেন সে দেশের আইনে ইন্টারপোল কাভার করে কি না-তার জুরিসডিকশন কাভার করে কি না-এগুলো বিচার-বিবেচেনা করে ইন্টারপোল তার সিদ্ধান্ত নেবে।
গত ১৭ অক্টোবর গণহত্যা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনসহ দুটি অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে তাদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান।