একটি মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ এতিম শিক্ষার্থীদের সাহায্যে সংগ্রহ করা চামড়া ঈদের দিন বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করেও বিক্রি করতে না পেরে নগরীর আম্বরখানায় রাস্তায় ফেলে প্রতিবাদ জানায়। পরে চামড়াগুলো ময়লার সাথে তুলে নেয় সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা।
সবাই এ রকম প্রতিবাদ না জানালেও অবিক্রিত চামড়া নিয়ে সিলেট জেলার বেশির ভাগ এলাকাতেই মানুষ বিপাকে পড়েন। মঙ্গলবার সকালে নগরীর বিভিন্ন মোড়ে চামড়ার স্তূপ চোখে পড়ে। পরে সেগুলো ভাগাড়ে নিয়ে যায় কর্তৃপক্ষ।
সিসিকের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হানিফুর রহমান বলেন, ‘নগরী থেকে প্রায় ২০ ট্রাক চামড়া ডাম্পিং করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বিভিন্ন মোড়ে এসব চামড়া রাখা ছিল। পরে সেগুলো ডাম্পিং করা হয়।’
এবার এত চামড়া কেন অবিক্রিত রয়ে গেল তা বোধগম্য নয় বলে জানান তিনি।
দেশে চামড়ার বিশাল বাজার রয়েছে। এ শিল্পের বড় যোগান দেয় কোরবানির পশুর চামড়া। বিগত সময়ে চামড়ার ব্যাপক চাহিদা থাকলেও গত কয়েক বছর থেকে তার দাম কমতে থাকে। আর এ বছর চামড়ার ক্রেতাই খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে ভাগ্যের জোরে কেউ বিক্রি করতে পারলেও তা দিয়ে দিতে হয়েছে পানির দামে।