সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় রবিবার ভোরে বাঁধ ভেঙে ছায়ার হাওরে পানি উপচে পড়া শুরু হয়েছে। ফলে হাওর এলাকার কৃষকদের ধান কাটা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।
এমন অবস্থায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করেছেন স্থানীয় লোকজন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের স্থানীয় কার্যালয়ের মতে, এ বছর ছায়ার হাওরে চার হাজার ৬৩৭ হেক্টর জমি বোরো চাষের আওতায় আনা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে হাওর এলাকার ৯৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে।
কিন্তু স্থানীয় কৃষকদের দাবি, তারা হাওরের ১৫ শতাংশ ফসল তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: আগাম প্রস্তুতির কারণে এবার হাওরে ক্ষতি কম হয়েছে: পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী
উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের কৃষক তকবির হোসেন জানান, ধান কাটা শ্রমিকের অভাবে তিনি তার জমির ৩০ শতাংশ ফসল তুলতে পারেননি।
শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব জানান, রবিবার ভোরে ছায়ার হাওর বাঁধের একটি অংশ ধসে পড়ে অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে বেড়িবাঁধের মূল অংশ অক্ষত আছে।
সম্প্রতি ভারতের মেঘালয় ও চেরাপুঞ্জিতে প্রবল বর্ষণে পাহাড়ি ঢল ও উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে আকস্মিক বন্যার কবলে পড়ে সুনামগঞ্জ হাওর অঞ্চল।
বোরো ফসলি জমির বিস্তীর্ণ অংশ প্লাবিত হওয়ায় কৃষকদের ক্ষতি কমাতে তাড়াতাড়ি ফসল তুলতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা।
আরও পড়ুন: বন্যার পানি হাওরে ঢুকে ফসলহানির আশঙ্কা সুনামগঞ্জের কৃষকদের