মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ বলেন, ‘মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বর্তমানে তার শরীরে করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ নেই।’
গত ১৪ নভেম্বর রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) করা পরীক্ষায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কোভিড-১৯ ধরা পড়ে। তারপর থেকে তিনি আইসোলেশনে আছেন।
ওই দিন মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীনের কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফলও পজিটিভ আসে।
পরে, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে তাদের করোনা পরীক্ষায় দুজনেরই ফলাফল নেগেটিভ আসে।
সোমবার ধানমন্ডির ডিএমএফআর মলিকিউলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিকসে তৃতীয় দফায় করা করোনা পরীক্ষায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ফল নেগেটিভ আসে।
উভয়ই এখন সুস্থ আছেন, বলেন মাহমুদ।
এদিকে, বুধবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও ২১ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৭৫ জনে।
এছাড়া, নতুন করে ২ হাজার ১১১ জনের শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৭৯৫ জনে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের সরকারি ও বেসরকারি ১১৭ ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৫৯৮টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ১৬ হাজার ৪৬৯টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ২৫ লাখ ৮৯ হাজার ৪২১টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
নতুন যে ২১ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৪ এবং নারী সাতজন। এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৮২৭ জন বা ৭৬ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং নারী ১ হাজার ৪৪৮ জন বা ২৩ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৮৯৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৭৮৮ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমকি ৮৬ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।