যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এর সাথে সোমবার টেলিফোনে আলাপাকালে এ আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আলাপকালে দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর জোর দেন।
এসময় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বৈচিত্র্য আনতে চায় উল্লেখ করে ড. মোমেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক জোনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রকে বিনিয়োগের অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের হাইটেক পার্ক, তথ্য প্রযুক্তি খাতে দক্ষ জনবল এবং বিপুল সংখ্যক শ্রমিকের সহজলভ্যতার কারণে এ দেশে বিনিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য লাভজনক হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকখাতে দুবছর শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়ার অনুরোধ করে ড. মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের ক্রেতারা ক্রয়াদেশ বাতিল করায় এ খাতে কর্মরত শ্রমিকরা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে, যার অধিকাংশ নারী।
এসময় মাইক পম্পেও করোনা মাহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসনে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও দৃঢ় ভূমিকা রাখার অনুরোধ করে ড. মোমেন বলেন, রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে চুক্তির বাস্তবায়নে মিয়ানমার সময়ক্ষেপণ করছে।
সম্প্রতি রাখাইন প্রদেশে মিয়ানমারের সামরিক অভিযানের বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
মানবপাচার রোধে টিআইপি প্রতিবেদনে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ধাপে উন্নয়নের প্রশংসা করেন মাইক পম্পেও।
এসময় যুক্তরাষ্ট্রে বঙ্গবন্ধুর খুনী রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত এনে তার শাস্তি নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাইক পম্পেওকে অনুরোধ করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. মোমেন বলেন, করোনা মহামারি সারা পৃথিবীকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এ সমস্যা মোকাবিলায় পৃথিবীর সকল দেশের পারস্পরিক অংশীদারিত্ব প্রয়োজন। এ বিষযে পারস্পারিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।