হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে উজ্জলের প্রেমিকা ফারজানা আক্তার ও তার বাবা মঞ্জু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার তাদের হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়।
উপজেলার মুড়াকড়ি গ্রামের শাহ আলমের ছেলে উজ্জল ২০ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হন। তিনি মাধবপুর উপজেলার সঈদ উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তার প্রেমিকা ফারজানার বাড়ি ধর্মপুর গ্রামে। তিনি বৃন্দাবন সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
ফারজানার প্রাথমিক স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ জানায়, তার মা-বাবাসহ পরিবারের সব সদস্য ঢাকায় থাকলেও তিনি একাই গ্রামের বাড়িতে থাকেন। ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে উজ্জল তার বাড়িতে আসেন। এ সময় উজ্জলের আরেক প্রেমিকা ফোন করলে তা নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
উজ্জলের প্রতারণা মেনে নিতে না পেরে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় ফারজানা এবং মশলা বাটার শিল দিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন। সেই সাথে মৃত্যু নিশ্চিত করতে উজ্জলের গলায় ফাঁস ও হাত-পায়ের রগ কেটে ফেলা হয়। পরে রাতেই ঘরে গর্ত করে লাশ লুকিয়ে পরদিন ঢাকায় গিয়ে মা-বাবাকে ঘটনা জানান ফারজানা।
ঢাকায় হকারের কাজ করা বাবা মঞ্জু মিয়া ১০-১২ দিন পর বাড়িতে এসে উজ্জলের লাশ বস্তাবন্দী করে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে মেদির বিলে ফেলে দেন।
এ ঘটনায় পুলিশ রবিবার সকালে ধর্মপুরে অভিযান চালিয়ে ফারজানা ও তার বাবা মঞ্জুকে আটক করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) অজয় চন্দ্র দেব বলেন, হত্যাকাণ্ডের সাথে আর কেউ জড়িত আছেন কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।