একই সাথে ডলফিন রক্ষায় এবং হত্যা বন্ধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আদালতের নিধারিত ই-মেইলের মাধ্যমে হাইকোর্টকে জানাতে বলা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও রাউজান থানার নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতি এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়। এ প্রথম হাইকোর্ট বিভাগে অনলাইন শুনানির মাধ্যমে আদেশ দেয়া হলো।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আবেদনকারী আইনজীবী মো. আব্দুল কাইয়ুম। ভার্চুয়াল শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্ত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও অমিত তালুকদার। আদেশের পর আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘চমৎকার এক অভিজ্ঞতা। আইনজীবীরা যার যার বাসায় বসেই ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শুনানিতে অংশ নিয়েছিলাম। আদালত ডলফিন রক্ষায় নির্দেশ দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকের দিনটি উচ্চ আদালতের জন্য ঐতিহাসিক দিন। এ মামলার শুনানির মাধ্যমে উচ্চ আদালত ভার্চুয়াল জগতে প্রবেশ করল। কোনো রকম শারীরিক উপস্থিতি ছাড়াই শুনানি হয়েছে। এমনকি আবেদনও অনলাইনে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম।’
হালদা নদীর ডলফিন রক্ষায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে সোমবার হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চে রিট আবেদন করেন অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল কাইয়ুম। হালদা নদীতে একের পর এক ডলফিন হত্যার ঘটনায় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত সংবাদ যুক্ত করে এ রিট করা হয়।