কালনী নদীর বন্যা রক্ষা বাঁধ উপচে সুনামগঞ্জের দিরাই ও জগন্নাথপুর উপজেলার বারাম ও দাড়াখাই হাওড়ে বন্যার পানি প্রবেশ করতে শুরু করায় স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত হাওরে পানি প্রবেশ ঠেকানো যায়নি।
কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের কৃষকেরা লোকসান কমাতে আধপাকা ধান কাটা শুরু করেছেন।
দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুর রহমান জানান, জেলার বড় হাওর বারাম। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ওই হাওরে পানি ঢুকছে। হাওরপাড়ের চণ্ডিপুর-খেজাউড়ার মাঝামাঝি অংশ দিয়ে কালনী নদীর পাড় উপচে পানি প্রবেশ শুরু হয়। এ হাওরে প্রায় চার হাজার হেক্টর জমি চাষাবাদ হয়।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জের হাওরে ফের বাড়ছে পানি, আতঙ্কে কৃষক
স্থানীয়রা জানান, হাওরের ৬০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। পানি প্রবেশ ঠেকানো না গেলে বাকি ধান ডুবে যাবে। সকাল থেকে জগন্নাথপুর, ছাতক ও শান্তিগঞ্জের মাঝামাঝি এলাকার ছোট হাওর দাড়াখাইয়েও পানি ঢুকেছে। এ হাওরের বেশিরভাগ ধান কাটা হয়নি।
স্থানীয় কৃষক শামিম মিয়া জানান, জমির পাকা ধান, কম সময়ে ধান কেটে গোলায় নিতে হচ্ছে। আবহাওয়া খারাপ থাকায় ধান শুকাতেও বিলম্ব হচ্ছে। এ অবস্থায় বাঁধ রক্ষার কাজে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম জানান, বারাম হাওরের আরও এক হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা হয়নি। পাঠার হাওরের ২০ হেক্টর জমির মধ্যে বেশিরভাগই কাটা শেষ। দুই হাওরে এখনও ধান কাটা চলছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে বাঁধ উপচে হাওরে ঢুকছে ঢলের পানি
সুনামগঞ্জে ঢলের আশঙ্কায় হাওরে দ্রুত ধান কাটার অনুরোধ করে মাইকিং